আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে জানানো হবে কিছু রোগের ঔষধ সম্পর্কে বিশেষ করেঃ
    পায়ের রগে টান লাগলে কি ওষুধ খেতে হবে এবং লিভার বড় হলে কি ওষুধ খেতে হবে সহ
    অন্যান্য আরো বেশ কিছু বিষয় সম্পর্কে। তাই যদি পায়ের রগে টান লাগে এবং আপনি
    যদি না জেনে থাকেন যে পায়ের রগে টান লাগলে কি ওষুধ খেতে হবে তাহলে আর্টিকেলটি
    মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন
যেহেতু এটি একটি স্বাস্থ্য বিষয় আর্টিকেল আর প্রত্যেকটি ওষুধেরই পার্শ্ব
  প্রতিক্রিয়া রয়েছে তাই মনোযোগ দিয়ে না পড়লে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্মুখীন
  হতে পারেন। আপনার হাতে যদি যথেষ্ট পরিমাণ সময় না থাকে সেক্ষেত্রে পরবর্তী কোন
  সময় পোস্টটি পড়ে নিতে পারেন কিন্তু কখনোই তাড়াহুড়া করে পড়ার চেষ্টা করবেন
  না। চলুন জেনে নেওয়া যাক পায়ের রগে টান লাগলে কি ওষুধ খেতে হবে।
  পা মচকে গেলে কি ওষুধ খেতে হবে
  বিশেষ করে ভারী কাজগুলো করার সময় তাড়াহুড়া করার কারণে পাম মচকে যায়। আবার
  চলতি পথে হঠাৎ গর্তের ভেতরে পাওয়া গেলে পা মচকে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এটি খুবই
  ব্যথা দায়ক অর্থাৎ পা মচকে গেলে মারাত্মক ব্যথা এবং যন্ত্রণা করে। তাই আপনাদের
  যদি হঠাৎ করে পা মোচকে যাই তাহলে বরফ দিয়ে মালিশ করবেন।
এছাড়া বিভিন্ন ধরনের ঔষধ রয়েছে যেগুলো সেবন করলে ধীরে ধীরে পা মচকানো ভালো হয়ে
  যায়। তবে ঔষধ খাওয়ার পাশাপাশি আপনাকে অবশ্যই ব্যায়াম করতে হবে এবং চিকিৎসক
  কিংবা কবিরাজের নির্দেশনা গ্রহণ করতে হবে।
  পা মচকে গেলে নিম্নোক্ত ঔষধ গুলো খেতে হবেঃ
  
    
      - Diclofen
 
      - Anaflex
 
      - Flamex
 
      - Resevix
 
      - Rolac
 
      - Sonap
 
      - Myolax
 
      - Indomet
 
      - Relentus
 
    
   
  
    পায়ের রগে টান লাগলে কি ওষুধ খেতে হবে
  
  
    আমরা যখনই চলাফেরা করি তখনই কিন্তু আমাদের পা ব্যবহার করা লাগে। আর
    অসাবধানতাবশত সময় সময় আমাদের বিভিন্ন কারণে পায়ের রগে টান লাগে। বিশেষ করে
    যারা প্রতিদিন বিভিন্ন চাপ যুক্ত কাজ করে এবং যারা খেলাধুলা করে তাদের এ ধরনের
    সমস্যা বেশি দেখা দেয়। তবে এছাড়াও আরো বেশ কিছু কারণ রয়েছে।
  
  
  
    অধিকাংশ মানুষের মনে করে শুধুমাত্র আঘাত জনিত কারণে কিংবা হঠাৎ করে পড়ে
    যাওয়ার কারণেই পায়ের রগের টান লাগে। কিন্তু এছাড়াও শারীরিক অনেক কারণ রয়েছে
    যে কারণে পায়ের রগের টান লাগতে পারে। তো চলুন কারণগুলো জেনে নেওয়া যাক।
  
  
  
    ডিহাইড্রেশন বা পানির অভাবঃশরীরে পানির ঘাটতি হলে পেশীর কার্যক্রমে সমস্যা হয়
    এবং রগে টান লাগতে পারে।
  
 
  
  
    শরীরের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন উপাদানের অভাবঃ পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, এবং
    ম্যাগনেশিয়ামের অভাব পেশীর সংকোচন ঘটাতে পারে।
  
 
  
  
    অতিরিক্ত পরিশ্রমঃ অতিরিক্ত পরিশ্রম বা দীর্ঘ সময় ধরে একই ধরনের ব্যায়াম করলে
    পেশীতে টান লাগতে পারে।
  
 
  
  
    পর্যাপ্ত বিশ্রামের অভাবঃ পর্যাপ্ত বিশ্রাম না নিলে পেশীগুলোর উপর চাপ সৃষ্টি
    হয়, যা রগে টান ধরার কারণ হতে পারে।
  
  
  
    দীর্ঘ সময় একই অবস্থানে থাকাঃ আপনি যদি দীর্ঘ সময় যাবত একই স্থানে একইভাবে
    দাঁড়িয়ে থাকেন কোন প্রকার নড়াচড়া না করে সেক্ষেত্রে রগে টান লাগতে পারে।
  
  
  
    রক্ত সঞ্চালনে সমস্যাঃ পায়ের দিকে রক্ত প্রবাহ কমে গেলে রগে টান লাগার সমস্যা
    দেখা দেয়।
  
  
  
    নার্ভ বা স্নায়ুজনিত সমস্যাঃ স্নায়ুর ক্ষতিগ্রস্ত হলে পেশীর কার্যক্রম
    বাধাগ্রস্ত হতে পারে।
  
  
  
    গর্ভাবস্থাঃ গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে শরীরের ওজন বৃদ্ধি এবং হরমোন পরিবর্তনের
    কারণে পায়ের রগে টান লাগা খুবই স্বাভাবিক।
  
  
  
    এতক্ষণ আপনারা জানলেন পায়ের রগে টান লাগার কারন সম্পর্কে আর এখন জানবেনপায়ের
    রগে টান লাগলে কি ওষুধ খেতে হবে সেই সম্পর্কে। তবে যে ওষুধগুলোর কথা বলা হবে
    সেগুলো খাওয়ার পর অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের নির্দেশনা গ্রহণ করবেন। কারণ
    তিনি আপনার স্বাস্থ্যের পরিস্থিতি এবং রোগের ধরন অনুসারে ঔষধ খাওয়ার নির্দেশনা
    দিবেন।
  
  
  
      পায়ের রগে টান লাগলে কি ওষুধ খেতে হবে তা নিম্নরূপঃ
    
  
    - Relentus
 
    - Myoson 50
 
    - Shelcal 500
 
    - Calcium-D3
 
    - Cyclobenzaprine
 
    - Baclofen
 
    - Tizanidine
 
    - Neuro B
 
    - Vitamin B Complex
 
    - Neurobion Forte
 
    - Supradyn
 
  
  
    আশা করি জানতে পেরেছেন পায়ের রগে টান লাগলে কি ওষুধ খেতে হবে। তবে এ ট্যাবলেট
    গুলো আপনার ব্যথার ধরন অনুসারে সেবন করতে হবে। তবে আপনার ব্যথার পরিধি যদি
    অত্যাধিক বেশি হয় সেক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ব্যথার
    ওষুধ সেবন করতে পারেন। তবে ব্যথার ওষুধ যত কম খাওয়া যাবে ততই ভালো কারণ ব্যথার
    ওষুধ সেবনের ফলে কিডনির সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  
  
    লিভার বড় হলে কি ওষুধ খেতে হবে
  
  
    লিভার বড় হওয়া বা হেপাটোমেগালি (Hepatomegaly) অনেক কারণে হতে পারে। এটিকে
    অন্য ভাষায় ফ্যাটি লিভার ও বলা হয়। তবে আপনি কি জানেন এটি কেন হয়ে থাকে? যদি
    না জেনে থাকেন তাহলে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।
  
  
  
      নিম্নোক্তা কারণে লিভার বড় হয়ে যায়ঃ
    
  
    - 
      ভাইরাল হেপাটাইটিস (হেপাটাইটিস A, B, C, ইত্যাদি)
    
 
    - অ্যালকোহলিক লিভার ডিজিজ
 
    - লিভারের ইনফেকশন বা টিউমার
 
    - 
      হার্টের সমস্যা বা কনজেস্টিভ হার্ট ফেইলিওর
    
 
    - বিলিয়ারি ডিজিজ (পিত্তনালীর সমস্যা)
 
  
  
      লিভার বড় হলে কি ওষুধ খেতে হবে তা নিম্নরূপঃ
    
  
    - Essentiale Forte
 
    - Tenofovir
 
    - Sofosbuvir
 
    - Velpatasvir
 
    - Silymarin
 
    - Glutathione
 
    - Pentoxifylline
 
    - Antibiotics
 
  
  
    এই ওষুধগুলো বাদেও আপনি অন্যান্য ওষুধ সেবন করতে পারেন সেগুলোতে ভালো ফলাফল
    পেতে পারবেন। বিশেষ করে বর্তমানে ফেসবুকে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন দেখা যায় এই ধরনের
    রোগের জন্য। বিশেষ করে তারা হারবাল জাতীয় ঔষধ বিক্রি করে যেগুলো সেবন করলে
    আপনার বড় হওয়া কিডনি আগের অবস্থায় নিয়ে আসতে পারবেন। এই ওষুধগুলোর বড়
    সুবিধা হচ্ছে এগুলোর দাম তুলনামূলক খুবই কম এবং দ্রুত কাজ করে। উপরের অংশ থেকে
    লিভার বড় হলে কি ওষুধ খেতে হবে তা জানার পর কখনোই নিজে নিজে সেবন করার
    সিদ্ধান্ত নেবেন না। এগুলো সেবনের পূর্বে অবশ্যই চিকিৎসকের নির্দেশনা গ্রহণ
    করবেন।
  
  
    ব্যক্তিগত মতামত
  
  
    আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে পায়ের রগে টান লাগলে কি ওষুধ খেতে হবে এবং লিভার
    বড় হলে কি ওষুধ খেতে হবে এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি
    আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনি উপকৃত হয়েছেন। যদি সামান্যতম উপকৃত হয়ে থাকেন
    তাহলে অন্যদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
  
  
  
    আমাদের ওয়েব সাইটে প্রতিনিয়ত এ ধরনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিত্যনতুন
    আর্টিকেল প্রকাশিত হয়। তাই নতুন নতুন আর্টিকেল পেতে ফলো করে পাশেই থাকুন।
    এছাড়া আপনাদের যদি ব্যক্তিগতভাবে কোন মন্তব্য থাকে সেক্ষেত্রে কমেন্ট বক্সে
    জানাতে পারেন, আমরা খুব অল্প সময়ের মধ্যে আপনার প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দিবো।
  
 
 
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url