ওয়েব ডেভেলপমেন্ট জন্য ল্যাপটপ নাকি কম্পিউটার লাগবে

পাঠক, আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি আপনি যদি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়তে পারেন তাহলে জানতে পারবেন যে আপনি যদি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট করতে চান তাহলে আপনাকে ল্যাপটপ কিনতে হবে নাকি কম্পিউটার কিনতে হবে। বিশেষ করে যারা নতুন নতুন ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শেখার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করছে তাদের মধ্যে কিন্তু এই ধরনের প্রশ্নের উৎপত্তি দেখা দেয়। তাই আপনি যদি এ বিষয়ে জানতে চান তাহলে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট জন্য ল্যাপটপ নাকি কম্পিউটার লাগবে
আর ওয়েব ডেভেলপমেন্ট করার জন্য যেহেতু বিভিন্ন ভারী কাজ করা লাগে তাই আপনাকে অবশ্যই জেনে রাখতে হবে যে ওয়েব ডেভেলপমেন্টের জন্য ল্যাপটপ নাকি কম্পিউটার লাগবে। আপনি যদি এই বিষয়ে পরিপূর্ণ জ্ঞান না রাখেন তাহলে কিন্তু ভবিষ্যতে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হবেন তখন যদি এই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হন তাহলে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শেখার সময় নষ্ট হয়ে যাবে। তাই আপনি যদি কোন প্রকার কোর্স ক্রয় করতে চান তাহলে কোর্স ক্রয় করার পূর্বেই এই সমস্ত বিষয়গুলো ঠিকঠাক করে নেওয়াই ভালো।

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট জন্য ল্যাপটপ নাকি কম্পিউটার লাগবে

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট হলো একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়ার যার মাধ্যমে ওয়েবসাইট প্রস্তুত করা হয়। তো বুঝতে পারছেন যেহেতু এটি ওয়েবসাইট নিয়ে কাজ করে থাকে এতে বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহৃত হয় এবং বিভিন্ন কোড করার প্রয়োজন হয় তাই আপনার কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপ যত ফাস্ট হবে তত বেশি কাজ করতে পারবেন আপনি স্বয়ংক্রিয়ভাবে। আর আপনার কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপ যত স্লো হবে আপনি তত পিছিয়ে থাকবেন।

আপনাদের ডিভাইসে যত দ্রুত কোড রান হবে আপনি তত দ্রুত কাজ করার সক্ষমতা অর্জন করতে পারবেন। দেখা যাচ্ছে যাদের ডিভাইস স্লো এবং দ্রুত কাজ করতে পারে না তাদের কিন্তু প্রতিযোগিতাতে পিছিয়ে থাকতে হয়। যেহেতু তারা স্লো কাজ করে করে অভ্যস্ত তাই তারা যখন বিভিন্ন কোম্পানিতে কাজ করতে যাই তখন কম্পিটিশনে তারা অনেক গুন পিছিয়ে থাকে। আগে থেকেই দুটো ডিভাইস দিয়ে কোডিং করে অভ্যস্ত তারা কিন্তু বিভিন্ন কোম্পানিতে গেলে ঐ সমস্ত কম্পিউটার যেহেতু অনেক ফাস্ট হয়ে থাকে তাই তারা তাল মিলিয়ে দ্রুত কঠিন করতে পারে।

আর যেহেতু এই সেক্টরের বর্তমানে অনেক প্রতিযোগিতা চালু হয়ে গেছে এবং অনেকেই কিন্তু ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখছে তাই আপনি যদি প্রতিযোগিতাকে নিজের আয়ত্তে রাখতে না পারেন তাহলে কখনোই আপনি একটি ভালো কর্মসংস্থান খুঁজে বের করতে পারবেন না। আর যদি কোন ভাবে একটি কর্মসংস্থান খুঁজে পাওন তাহলে আপনার কিন্তু আপডেট বা ইনক্রিমেন্ট কখনোই দ্রুত হতে পারবে না। তাই কম্পিটিশন এনালাইসিস করে আপনি যদি অন্যদের থেকে এগিয়ে যেতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই একটি ভালো ডিভাইস দিয়ে কোডিং করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।

তাই আপনি যদি এখনো কোডিং করা শুরু না করে থাকেন কিংবা ওয়েব ডেভেলপমেন্টের কোর্স ক্রয় না করে থাকেন তাহলে এই বিষয়টি অবশ্যই বিস্তারিত জেনে নিন। মনে করেন আপনি কোর্স করছেন কিংবা কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রজেক্ট এর কাজ করছেন ওই সময় আপনার ডিভাইস হ্যাং করল তখন আপনার কেমন মনে হবে? অবশ্যই বিরক্ত করে লাগবে এবং মনে হবে আগে যদি এ বিষয়টি ভাবতাম তাহলে আজকের এই পরিস্থিতিতে আমাকে পড়তে হতো না।

এজন্য আপনি যদি আগে থেকে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে সচেতনতা অবলম্বন করেন এবং পদ্ধতিগতভাবে প্রক্রিয়া সম্পাদন করে থাকেন তাহলে কাজ করার সময় আপনাকে আর কখনো দুশ্চিন্তা করতে হবে না কিংবা কাজের মধ্যে বিঘ্ন ঘটবে না।এমন অনেকের হয়েছে যারা নরমাল কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপ দিয়ে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শেখা শুরু করে কিন্তু পরবর্তীতে যখন ভারে ভারী কাজ করা লাগে এবং কোডিং অনেক করা লাগে তখন কিন্তু তাদের কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপ কোড গুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবেবা স্মুথভাবে রান করতে পারে না।

এজন্য কিন্তু অনেকেই এই কোডিং করতে করতে তাদের ল্যাপটপ কিংবা কম্পিউটার বিক্রি করে দিয়ে আপডেট ভার্সনে তাদের ডিভাইস আবার ক্রয় করে থাকে।তাই পরবর্তী সময় যদি আবার কয় ক্রয় লাগে তাহলে আগে ক্রয় করাই ভালো। বিশেষ করে আমাদের অনলাইন সেক্টরেযেসব কোর্স রয়েছে সেগুলো ক্রয় করার পর থেকে কিন্তু আপনাকে প্রতিনিয়ত কাজ করে যেতে হবে। তাই এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আপনার যদি কোন কারণে সময় নষ্ট হয়ে যায় তাহলে কিন্তু অনেক একটা ঘাটতি তৈরি হয়ে যাবে।

আমাদের দেশে অনেকেই ওয়েব ডেভেলপমেন্টের কোর্স করা শুরু করে কিন্তু মাঝপথে গিয়ে থেমে যায়। এর একটা প্রধান কারণ হলো তাদের বিভিন্ন কারণে সময় নষ্ট হয়ে যায় কিংবা কোর্স এর যে রুটিন বা মেনটেনেন্স এর বিষয়টি রয়েছে তারা ওইভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। এজন্য যে গ্যাপ বা তার নাম মিলাতে পারার যে প্রবণতা তৈরি হয় সে কারণেই কিন্তু অনেকেই ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখতে পারেনা।

তাই আপনি যদি এখনো শেখা না শুরু করেন তাহলে আপনি সবকিছু আগে থেকেই সেটআপ করে নিবেন যাতে এগুলো শেখার সময় কোন কারণে আপনার সময় নষ্ট না হয়ে যায়।আর এই জন্য কিন্তু আপনাকে অবশ্যই একটি কম্পিউটার কিম্বা ল্যাপটপ ক্রয় করতে হবে যেগুলো দিয়ে আপনি খুব সহজে এবং সুন্দরভাবে কোড রান করতে পারবেন। এখন প্রশ্ন হল যে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট করার জন্য আপনাকে ল্যাপটপ কিনতে হবে নাকি কম্পিউটার কিনতে হবে?

সোজা কথাই বলতে গেলে ওয়েব ডেভলপমেন্ট যে আসলে ল্যাপটপ দিয়ে করা যাবে না বিষয়টি সম্পূর্ণরূপ এরকম নয়। এমন অনেক ল্যাপটপ রয়েছে যেগুলোতে অনেক ভালো সাপোর্ট আপনি পাবেন এবং কোডগুলো অনেক সুন্দর ভাবে রান করতে পারবেন। আবার এমন অনেক কম্পিউটার রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে কিন্তু আপনি কখনোই ওয়েব ডেভেলপমেন্টের কাজ করতে পারবেন না। এটা শুধুমাত্র কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপের উপরে নির্ভর করে না এটা পরিপূর্ণভাবে নির্ভর করে কনফিগারেশন এর উপরে।

আপনার একটি ল্যাপটপ রয়েছে যেটা আর কনফিগারেশন অনেক হাই তাহলে সেটা দিয়ে কিন্তু আপনি সুন্দর ভাবে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট সহ মেশিন লার্নিং, ডেটা সাইন্টিস্ট, সাইবার সিকিউরিটি, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট, ভিডিও এডিটিং, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, গ্রাফিক্স, ওয়েবসাইট ও বিভিন্ন কাজ করতে পারবেন।

আবার মনে করেন আপনার একটি কম্পিউটার রয়েছে কিন্তু সেটা কনফিগারেশন খুবই নিম্নমানের। তাহলে সেটা দিয়ে কিন্তু আপনি কখনোই ওয়েব ডেভেলপমেন্টের মতো কাজগুলো কখনোই করতে পারবেন না। তাই সব থেকে মূল বিষয় হলো কনফিগারেশনের। কনফিগারেশন যদি ভালো হয় তাহলে করতে পারবেন আর যদি কনফিগারেশন খারাপ হয়ে থাকে বা লো বাজেটের হয়ে থাকে তাহলে ওইগুলো দিয়ে আপনি কখনোই ভারী কাজগুলো করতে পারবেন না।

তবে এখানে আরেকটি বিষয় রয়েছে যেটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি সেম কনফিগারেশনের ল্যাপটপ ক্রয় করতে চান সেক্ষেত্রে আপনার খরচ হতে পারে ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকার মত। কিন্তু আপনি যদি একই কনফিগারেশন এর একটি কম্পিউটার সেটাপ করতে চান তাহলে আপনাকে সর্বোচ্চ খরচ করতে হতে পারে ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা। তাহলে বুঝতে পারছেন তৈরি করলে আপনি একই জিনিস খুব কম খরচে কিন্তু পেয়ে যাবেন।

তবে এদিক দিয়ে যেরকম সুবিধা রয়েছে কিন্তু অন্য দিক দিয়ে আবার অসুবিধা রয়েছে। আপনি যদি ল্যাপটপ ক্রয় করেন তাহলে কিন্তু কারেন্ট চলে গেল সেটি ব্যাটারির মাধ্যমে চালাতে পারবেন অর্থাৎ এর মধ্যে যত ব্যাটারি থাকে তাই মোবাইল ফোনের মত এটি ব্যবহার করতে পারবেন। কিন্তু কম্পিউটারে কারেন্ট চলে যা মাত্রই কিন্তু সেটা বন্ধ হয়ে যাবে। তাই আপনার এলাকায় যদি ইলেকট্রিসিটির কিংবা লোডশেডিং এর মতো সমস্যা থেকে থাকে তাহলে কম্পিউটার কিনলে আপনাকে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হবে।

মনে করেন আপনি যে কোন একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করছেন কিংবা কোড করছেন হঠাৎ করে কারেন্ট চলে গেল তাহলে কিন্তু আমরা সকল কোড গুলো মুছে যাবে। আপনি এতক্ষণ কষ্ট করে যে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো করছিলেন কিংবা কাজটি শেষের দিকে ছিল সেই কাজটি কিন্তু আপনাকে আবার নতুন করে অতিরিক্তভাবে করে নিতে হবে। তাই বুঝতে পারছেন এটির দাম কম হলেও কিন্তু এর অনেক অসুবিধা রয়েছে। এমন অনেক কাজ রয়েছে কয়েকদিন যাবত আপনি কাজটি সমাধান করার চেষ্টা করছেন এবং সেটা সমাধান করার তাই শেষের দিকে চলে এসেছেন কিন্তু এরকম সময় হঠাৎ করে বিদ্যুৎ চলে গেল তাহলে কিন্তু আপনার এই কয়েক দিনের পরিশ্রম বৃথা।

আবার আরেকটি বিষয় হলো মনে করেন আপনার কোন বিপদ হলো কিংবা কোন গুরুত্বপূর্ণ কাজে বাড়ি থেকে অন্য জায়গায় গিয়ে থাকতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার যদি ল্যাপটপ থাকে তাহলে কিন্তু আপনি ল্যাপটপ খুব সহজে বহন করে ওই জায়গায় নিয়ে যেতে পারবেন সাথে করে। যার ফলে আপনি যেখানে অবস্থান করেন না কেন আপনার কাজ কিন্তু আপনি প্রতিদিন কন্টিনিউ করে দিতে পারছেন। কিন্তু একই ভাবে আপনি যদিল্যাপটপ না কিনে কম্পিউটার তৈরি করেন সে ক্ষেত্রে সেটি কখনোই আর সাথে করে বহন করতে পারবেন না যার ফলেও কিন্তু একটি গ্যাপ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এছাড়া আরো বেশকিছু সমস্যা রয়েছে যেরকম কম্পিউটারে একই জায়গায় বসে থেকে আপনাকে কাজ করতে হবে। যার ফলে আপনার যদি ব্যাক পেইন কিংবা কোমর লেগে যায় তাহলে কখনোই সেটা সমাধান আপনি করতে পারবেন না। আপনাকে নির্দিষ্ট টেবিল চেয়ারে বসে থেকে কাজ করতে হবে এছাড়া আর কোন উপায় নেই। কিন্তু আপনার যদি ল্যাপটপ থাকে তাহলে আপনি যে কোন জায়গায় শুয়ে বসে থেকে কিন্তু কাজগুলো করে নিতে পারবেন। তাই কম্পিউটারের শুধুমাত্র দাম কম এ বিষয়টি দেখে উৎফুল্ল হওয়ার কিছুই নেই। দাম যেরকম কম কিন্তু সেদিক ভাবে অসুবিধাও রয়েছে।

অনেক কিন্তু এই বিষয়গুলো আগে থেকে চিন্তাভাবনা করে না হঠাৎ করে যে কোন একটি ডিভাইস দিয়ে এরকম গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা গুলো শেখা শুরু করে এবং মাঝপথে গিয়ে থেমে যায় আস্তে আস্তে সেগুলো থেকে বেরিয়ে আসে এবং অন্য কাজের সংযুক্ত হয়ে যায়। এজন্য বলছি আপনি যদি নিতান্তই আইটি সেক্টরে কোন একটি স্ক্রিল ডেভেলপমেন্ট করতে চান তাহলে আপনাকে এই বিষয়গুলো অবশ্যই জেনে রাখতে হবে।

এখন প্রশ্ন হল আপনি যদি এই ধরনের দক্ষতা গুলো শিখতে চান তাহলে আপনাকে কি রকম কনফিগারেশনের কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপ ব্যবহার করতে হবে। প্রথমেই বলে রাখি এই ধরনের কাজের জন্য কিন্তু শুরুর দিকে আপনাকে একটি বেসিক কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপ দিয়ে কাজ চালিয়ে নিতে পারবেন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে আপনি জন অভিজ্ঞ হয়ে যাবেন এবং বিভিন্ন ভারী কাজগুলো একসাথে করার চেষ্টা করবেন তখন কিন্তু আপনাকে অবশ্যই একটি হাই কনফিগারেশনের কম্পিউটার ব্যবহার করতেই হবে।

এজন্য আপনি যদি মনে করেন যে আপনি কে বলে শুরু করব কিংবা প্রাথমিকভাবে নরমাল একটি ল্যাপটপ দিয়েও কিন্তু শুরু করতে পারবেন। বিশেষ করে আপনি যদি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখতে চান তাহলে কিন্তু আপনি সাধারণ একটি ল্যাপটপ দিয়ে এইচটিএমএল, সিএসএস এবং জাভা স্ক্রিপ্টেড বেসিক ধারণা গুলো নিতে পারবেন। কিন্তু এগুলো দিয়েই আপনি যখন এডভান্স লেভেলের কাজগুলো করতে চাবেন তাহলে কিন্তু কখনোই আপনি ল্যাপটপ দিয়ে আর করতে পারবেন না। তখন আপনাকে অবশ্যই একটি হাই লেভেলের ল্যাপটপ কম্পিউটার ব্যবহার করতে হবে।

এখন প্রশ্ন হল যে ওয়েব ডেভলপমেন্টের জন্য কি ধরনের ল্যাপটপ কিংবা কম্পিউটার ব্যবহার করতে হবে। একদম বাস্তবমুখী এবং সত্য একটি কথা আমি আপনাদেরবলতে চাই যেটা আমার অবশ্যই একটি ব্যক্তিগত মতামত হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হবে সেটা হল, আপনার যদি একটি কম্পিউটারকিংবা ল্যাপটপ যেটা সাধারণ কনফিগারেশনের হলেও আপনি সেটা দিয়ে কিন্তু শুরু করে দিতে পারেন।

আর আপনার যদি এই ধরনের কোন ডিভাইস না থাকে এবং আপনি নতুনভাবে ল্যাপটপ কিনতে চাচ্ছেন কিংবা কম্পিউটার তৈরি করতে চাচ্ছেন সে ক্ষেত্রে আরেকটি নির্দেশনা রয়েছে। এই কাজের জন্য আপনি যদি ল্যাপটপ ক্রয় করতে চান তাহলে আপনাকে সর্বনিম্ন হলেও ১ লক্ষ টাকার কাছাকাছি দামের ল্যাপটপ ক্রয় করতে হবে। যেটা কিন্তু একজন মধ্যবিত্ত পরিবারের পক্ষে কখনোই সম্ভব না কিংবা অনেক কষ্টসাধ্য হয়ে যাবে।

ঠিক একই ভাবে আপনি যদি চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা দিয়ে একটি মোটামুটি কনফিগারেশন এর কম্পিউটার তৈরি করেন সে ক্ষেত্রে কিন্তু ওয়েব ডেভেলপমেন্ট সহ এই জাতীয় মোটামুটি অনেক কাজগুলো খুব সহজেই করতে পারবেন। কারণ কনফিগারেশন হিসাবে প্রয়োজন হয় মোটামুটি বলতে গেলে ৮ জিবি ram, ২৫৬ জিবি ssd,প্রসেসর লাগে কোর আই থ্রি টেন জেনারেশন।তো এই কনফিগারেশন এর যদিভালো কোম্পানির ল্যাপটপ ক্রয় করতে চান তাহলে আপনাকে এক লক্ষ টাকার মতো খরচ করতে হবে।

এজন্য সব থেকে ভালো হয় এরকম কনফিগারেশন দিয়ে একটি পিসি বিল্ড করা। এবং পরবর্তী সময়ে আপনি যখন অভিজ্ঞ হয়ে যাবেন কিংবা কাজগুলো পরিপূর্ণভাবে করতে পারবেন তখন প্রয়োজন অনুসারে আপডেট করে নিতে পারবেন। আর যেহেতু এগুলো অনেক ডিমান্ডেবল দক্ষতা তাই এগুলো যদি কেউ ভালোভাবে শিখতে পারে তাহলে তার ইনকাম কিংবা চাকরি-বাকরি নিয়ে কোন প্রকার টেনশন করতে হবে না। তাই সব থেকে ভালো পরামর্শ হলো এরকম কনফিগারেশন দিয়ে একটি কম্পিউটার তৈরি করে নেন এবং কাজ শেখার পরে চাকরি করে কিংবা ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করে পরবর্তী সময়ে চাহিদা অনুসারে হাই কনফিগারেশন এর পিসি বিল্ড করে নেবেন।

ফ্রিতে ওয়েব ডেভলপমেন্ট শেখার ইউটিউব টিউটোরিয়াল 

আপনি যদি কোন প্রকার টাকা পয়সা খরচ করে কোর্স ক্রয় করতে না চান তাহলে আপনি কিন্তু শুধুমাত্র ইউটিউব এর ফ্রি রিসোর্স থেকেই ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর মত দক্ষতা গুলো অর্জন করতে পারবেন। আপনি যদি ইউটিউবের ফ্রি ভিডিও দেখে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখতে চান তাহলে নিজের এ কয়েকটি চ্যানেল ফলো করতে পারেন। কারণ এই চ্যানেলগুলো অনেক সুন্দরভাবে বিষয়গুলো উপস্থাপন করে যেটা বিগেনার লেভেলের একজন ব্যক্তি খুব সহজেই বুঝতে পারবে।

চ্যানেলগুলোর মধ্যে রয়েছে: apna college, anisul islam, procoder, sumit saha, hablu programmer ইত্যাদি। আপনি যদি এই চ্যানেলগুলোর যেসব প্লে লিস্ট রয়েছে সেগুলো পরিপূর্ণভাবে শেষ করতে পারেন এবং সেই অনুসারে কাজ করতে পারেন তাহলে আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি আপনি সম্পূর্ণ ফ্রিতে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর মত একটি ডিমান্ডেবল দক্ষতা খুব সুন্দরভাবে আয়ত্ত করতে পারবেন। 

ব্যক্তিগত মতামত

আপনি যদি মন থেকে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। এটা এরকম কোন দক্ষতা নয় যে আপনি সাতদিন পরিশ্রম করলেন এবং সাত দিনের অধ্যবসায়ের মাধ্যমেই আপনি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট পরিপূর্ণভাবে শিখে ফেললেন। আপনি যদি এরকম দক্ষতাগুলো অর্থাৎ আইটি সেক্টরের যেকোন দক্ষতা পরিপন ভাবে শিখতে চান তাহলে আপনাকে বছরের পর বছর সাধনা করতে হবে। সাধনা ছাড়া মূলত কোনভাবেই কোন ভাল লেভেলের দক্ষতা অর্জন করা সম্ভব নয়।

তাই আপনি যদি আইটি সেক্টরে ক্যারিয়ার দাঁড় করাতে চান এবং ভবিষ্যৎকে সমৃদ্ধ করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই ধৈর্য ধরে এই দক্ষতা গুলো শিখে যেতে হবে। আর পরিশেষে বলতে চাই আপনি যদি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শেখার জন্য ল্যাপটপ কিনবেন নাকি কম্পিউটার বানাবেন এসব নিয়ে দুশ্চিন্তিত হয়ে থাকেন তাহলে আমাদের সাথে ব্যক্তিগতভাবে কথা বলে নিতে পারেন কিংবা কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আমরা অবশ্যই খুব অল্প সময়ের মধ্যে আপনাকে একটি ভালো সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করব।

আর আপনার বাজেট যদি কম হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই ওই ওপরের দেওয়া কনফিগারেশন অনুসারে একটি কম্পিউটার প্রস্তুত করে নেবেন। তো আজকে এই পর্যন্তই, আইটি রিলেটেড যে কোন সাহায্যের জন্য আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এই ক্যাটাগোরির আর্টিকেলগুলো পড়ে নিতে পারেন। আশা করি ঐসব আর্টিকেল আপনাদের জন্য অনেক হেল্পফুল হবে এবং সেখান থেকে আপনি উপকৃত হতে পারবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪