উইন্ডোজে একাধিক গুগল ড্রাইভ চালানোর উপায়
উইন্ডোজে একাধিক গুগল ড্রাইভ চালানোর উপায় আপনি জানেন কি? বিভিন্ন উপায়ে উইন্ডোজ এ একাধিক গুগল ড্রাইভ চালানো সম্ভব। আজকের আর্টিকেলটিতে আমি উইন্ডোজ এ একাধিক গুগল ড্রাইভ চালানোর উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
বর্তমান যুগে প্রযুক্তির উন্নতির কারণে উইন্ডোজের একসাথে অনেকগুলো গুগল ড্রাইভ চালানো যায়। এই সম্পর্কে আমাদের মধ্যে অনেকেরই ধারণা নেই। চলুন, আজকে কিভাবে উইন্ডোজ এ অনেকগুলো গুগল ড্রাইভ চালানো যায় সেটি সম্পর্কে আলোচনা করি।
উইন্ডোজে একাধিক গুগল ড্রাইভ চালানোর সহজ উপায়
আপনি জানেন কি, উইন্ডোজে একাধিক গুগল ড্রাইভ চালানোর সহজ উপায়। বেশ কিছুদিন আগে
উইন্ডোজে শুধুমাত্র একটি গুগল ড্রাইভ চালানো যেত, এছাড়া থার্ড পার্টির মাধ্যমে
উইন্ডোজ এ একাধিক গুগল ড্রাইভ চালাতে হতো। বর্তমান প্রযুক্তির উন্নতির কারণে আপনি
চাইলে উইন্ডোজ এ একসাথে অনেকগুলো গুগল ড্রাইভ চালাতে পারবেন। উইন্ডোজে গুগল
ড্রাইভ চালানোর সহজ উপায় হলো গুগল ড্রাইভ ফর ডেস্কটপ অ্যাপ।
উইন্ডোজে একসাথে তিন থেকে চারটি অ্যাকাউন্ট খোলা যাবে। তবে আপনার যদি ড্রাইভ
একাউন্ট আরো প্রয়োজন হয় সেক্ষেত্রে আলাদাভাবে ইউজার অ্যাকাউন্ট ক্রিয়েট করে
আরো একটি google একাউন্ট খুলতে পারবেন। উইন্ডোজে একাধিক গুগল একাউন্ট চালানোর সহজ
উপায় আরেকটি হলো গুগল ক্রোম একাউন্ট ক্রিয়েট করে একাধিক গুগল ড্রাইভ একাউন্ট
চালানো যায়। উইন্ডোজে একাধিক অ্যাকাউন্ট চালালে অনেক সুবিধা হয় এবং কাজ
অনেক সহজ হয়। এতে করে অফিসের এবং ব্যক্তিগত কাজগুলো আলাদা আলাদা ড্রাইভে
রাখা যায়।
উইন্ডোজে গুগল ড্রাইভ মাল্টি লগইন ট্রিকস
উইন্ডোজ এ গুগল ড্রাইভ মাল্টি লগ ইন ট্রিকস জানতে প্রথমে আপনার একটি একাউন্ট
ক্রিয়েট করতে হবে। এরপর একটি অ্যাকাউন্ট লগইন করুন, তারপর প্রোফাইলের আইকনে
ক্লিক করে এড একাউন্ট যোগ করুন। এরপর থেকে আপনি চাইলে এক অ্যাকাউন্টের সাথে
আরেকটি অ্যাকাউন্ট চেঞ্জ করে ব্যবহার করতে পারবেন। নিম্নে এ বিষয়ে বিস্তারিত
আলোচনা করছি
প্রথমে আপনার উইন্ডোজের গুগল ক্রোম বা অন্যান্য ব্রাউজার থেকে গুগল একাউন্ট
লগইন করুন।
জিমেইল অ্যাকাউন্ট লগইন করার পর দেখবেন উপরের ডানদিকে আপনার প্রোফাইলের ছবিতে
ক্লিক করুন।
তারপর নতুন একটি ট্যাব খুলুন যেখানে আপনি গুগল একাউন্টটি লগইন করতে পারবেন।
এরপর থেকে প্রোফাইল ছবিতে ক্লিক করেই আপনি এক অ্যাকাউন্ট থেকে আরেক অ্যাকাউন্ট
পরিবর্তন করতে পারবেন যেকোনো সময়।
অফিস ও ব্যক্তিগত গুগল ড্রাইভ একসাথে ব্যবহারের পদ্ধতি
বর্তমান প্রযুক্তির যুগে উইন্ডোজে একাধিক গুগল ড্রাইভ চালানোর সহজ
উপায়গুলো যদি বলি, তাহলে বলব সবচেয়ে বেশি উপকৃত হয়েছেন অফিস ও ব্যক্তিগত
কাজের জন্য। একই সাথে অনেকগুলো গুগল ড্রাইভ চালানোর জন্য অফিসিয়াল কাজকর্ম
অনেক সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হয়। প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে সাথে ব্যক্তিগত ও
অফিসিয়াল google drive একসাথে ব্যবহার করতে অনেকেই স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন।
অনেকগুলো গুগল একাউন্ট লগইন করে ব্রাউজারে আলাদা প্রোফাইল ব্যবহার করলে
ব্যক্তিগত ও অফিসিয়াল ফাইল সম্পন্ন আলাদাভাবে রাখা সম্ভব এবং এসব ফাইল
আলাদাভাবে পরিচালনা করা যায়। আপনি আরো জানলে অবাক হবেন, অফিসিয়াল ফাইল
সুরক্ষিতভাবে রাখতে টিম ড্রাইভ ব্যবহার করা যেতে পারে যা অফিসিয়াল কাজে
শেয়ারিং এর সুবিধা পেতে সাহায্য করে। ব্যক্তিগত ও অফিসিয়াল ফাইল একসাথে
ব্যবহারের জন্য গুগল ড্রাইভে Add Shortcut To Drive ব্যবহার করা যায়।
Add Shortcut to Drive এর মাধ্যমে অন্য ড্রাইভে আপনি চাইলে
শর্টকাটে সংরক্ষণ করতে পারবেন, এই জন্য কাজের অতিরিক্ত সুবিধা পাওয়া
যায়।Backup and Sync ব্যবহার করে দুইটি একাউন্টের ফাইল একসাথে নিজের
কম্পিউটারে সিঙ্কোনাইজ করা সম্ভব, এতে করে কাজের গতি ও সুন্দরভাবে তুলে ধরা
যায়। কম্পিউটারে ফাইলগুলো নিরাপদে সংরক্ষণ করা যায় এবং সঠিক ব্যবহার করাতে
সময়ের অপচয় কম হয়।
উইন্ডোজের গুগল ড্রাইভ ম্যানেজমেন্ট পদ্ধতি
উইন্ডোজ কম্পিউটারে গুগল ড্রাইভ ব্যবহারের অন্যতম প্রধান সুবিধা হল এটি লোকাল
ফাইল সিস্টেমের সাথে সহজে একীভূত হয়। গুগল ড্রাইভ ব্যবহারকারী ওয়েবসাইটে
সরাসরি না গিয়ে উইন্ডোজ এক্স ফ্লোরে থেকেই ফাইল এক্সেস করতে পারে। ফলে
কাজের গতি বেড়ে যায় এবং সময় অনেক বেঁচে যায়। এছাড়াও গুগল ড্রাইভ সরাসরি
গুরুত্বপূর্ণ ফোল্ডার গুলোকে টেনে এনে আপলোড করতে পারে এতে করে ডাটা
ম্যানেজমেন্ট অনেক সহজ হয়।
ম্যানেজমেন্ট এর গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ফাইল সংগঠিত করা। উইন্ডোজ এক্সপ্লোরের
থেকে গ্লোবাল ড্রাইভের ফোল্ডার তৈরি, কপি পেস্ট, নামকরণ করে ফাইল ম্যানেজ
করতে হয়। এতে করে ব্যবহারকারীরা খুব সহজে নিজের ফাইল স্ট্রাকচার তৈরি করতে
পারে। ফাইল সবসময় আলাদা রঙ দিয়ে সাজিয়ে রাখলে খুব দ্রুত খুজে
পেতে সুবিধা হয়। গুগল ড্রাইভের সার্চ সুবিধা উইন্ডোজ এক্সপ্লোর এর থেকে
ব্যবহার করা সম্ভব।
উইন্ডোজ এ গুগল ড্রাইভ ব্যবহারের মাধ্যমে ফাইল রিকভারি বা পুনরুদ্ধার করা
অনেকটা সহজ হয়ে যায়। গুগল ড্রাইভের ভার্সন হিস্ট্রি ব্যবহার করে পূর্বের কোন
সংস্করণ ফিরে আনা সম্ভব হয়। আমাদের অনেক সময় ভুলবশত অনেক ফাইল ডিলিট হয়ে
যায় কিন্তু সেটি ড্রাইভের trash option এ গিয়ে ফেরত আনা সম্ভব। এর থেকে
সুবিধা হল যে কোন গুরুত্বপূর্ণ ফাইল হারানোর ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায় এজন্য
উইন্ডোজের ড্রাইভ নিয়মিত ব্যবহার করা নিরাপদ অনেক।
উইন্ডোজ এ গুগল ড্রাইভ সেটআপ পদ্ধতি
আপনারা কি উইন্ডোজের google ড্রাইভ সেটা পদ্ধতি সম্পর্কে ধারণা আছে? যদি না
থেকে থাকে তাহলে আজকে উইন্ডোজ এ গুগল ড্রাইভ সেটাপ পদ্ধতি সম্পর্কে আপনাদের
ধারণা দিব। google drive windows এ সেটআপ করা খুবই সহজ একটি পদ্ধতি।
এর মাধ্যমে ডাটা ক্লাউডে সেভ করা যায়। প্রথমে গুগল ড্রাইভের ওয়েবসাইট
থেকে গুগল ড্রাইভের ডেস্কটপ অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করতে হবে। তারপর
অ্যাপ্লিকেশনটি ইন্সটল করার পর google একাউন্টে লগইন করতে হবে এবং আপনার
প্রয়োজনীয় ফাইলগুলো ড্রাইভে আপলোড শুরু করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ
বিদেশে বেস্ট ডিমান্ডেবল দক্ষতা ২০২৫
ড্রাইভে আপলোড করার ফলে আপনার প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট, ছবি, ভিডিও এবং অন্যান্য
গুরুত্বপূর্ণ ফাইল সুরক্ষিত থাকে। ফলে ড্রাইভে রেখে ডকুমেন্টগুলো নিশ্চিন্তে
ব্যবহার করা যায়। এছাড়াও উইন্ডোজ এ গুগল ড্রাইভের সাহায্যে আপনি সহজেই
গুরুত্বপূর্ণ ফাইলগুলো সিঙ্ক করতে পারবেন এবং অন্যান্য ডিভাইসে এক্সেস করতে
পারবেন। গুগল ড্রাইভ অত্যন্ত নিরাপদ এবং সুরক্ষিত যার ফলে আপনার অফিসিয়াল ও
ব্যক্তিগত ডাটা ক্লাউড স্টোরেজে রাখতে পারবেন। অফিস প্রোগ্রামে দলবদ্ধ হয়ে
কাজ করার জন্য ফাইল শেয়ারিং এবং সিঙ্কিং সুবিধা পাওয়া যায়।
উইন্ডোজ এ গুগল ড্রাইভ একাউন্ট পরিবর্তনের নিয়ম
Windows the google drive ব্যবহার করার সময় ভিন্ন ভিন্ন একাউন্টে
কাজ করার দরকার হয়। এজন্য প্রথমে কম্পিউটারে গুগল ড্রাইভ ফর ডেস্কটপ
অ্যাপ ওপেন করতে হবে এরপর সেখান থেকে ডান দিকের টাস্কবারে ড্রাইভের আইকনে
ক্লিক করলে একাউন্ট সেটিংস দেখা যাবে তারপর যদি বর্তমানে একটি অ্যাকাউন্ট
লগইন করা থাকে তবে সেটিকে ম্যানেজ বা সাইন আউট করার অপশন থাকবে। তারপর নতুন
অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করার প্রস্তুতি নিতে হবে।
একটি অ্যাকাউন্ট থেকে অন্যটিতে পরিবর্তন করতে চাইলে প্রথমে বর্তমান একাউন্ট
থেকে সাইন আউট করতে হবে তারপর গুগল ড্রাইভ অ্যাপ আবার খুলে সাইন ইন
অপশনে ক্লিক করতে হবে। এরপর আপনার জিমেইল ঠিকানা দিয়ে লগইন করতে হবে এবং
পাসওয়ার্ড দিয়ে ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হলে একাউন্ট পরিবর্তন হয়ে যাবে, নতুন
ড্রাইভার ফাইল পুরো উইন্ডোজ এক্সপ্লোর এর এ দেখা যাবে।
একাউন্ট পরিবর্তনের সময় থিংক সেটিং গুলো ভালোভাবে দেখে নেওয়া জরুরি, কারণ
যখন নতুন একাউন্ট লগইন করব সেটি কোন ফোল্ডারে সিম হয় তা নির্বাচন
করতে হয়। ভুল সেটিং দিলে অপ্রয়োজনীয় ফাইল ডাউনলোড হয়ে উইন্ডোজের
স্টোরেজ পূর্ণ হয়ে যায় এজন্য প্রতিবার অ্যাকাউন্ট পরিবর্তনের পর sync
ফোল্ডার গুলো সঠিকভাবে নির্বাচন করা উচিত এটি বর্তমানে খুবই কার্যকরী একটি
ফিচার।
একাধিক গুগল ড্রাইভ ব্যবহারের সুবিধা ও অসুবিধা
উইন্ডোজ এ একাধিক গুগল ড্রাইভ ব্যবহারের সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে
বিস্তারিত আলোচনা করব। আধুনিকতার সাথে সাথে প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে একটা
উইন্ডোজ এই অনেকগুলো গুগল ড্রাইভ ব্যবহার করা যায়। যার কারণে অল্প সময়ের
মধ্যে অনেক কাজ দ্রুত সম্পন্ন হয়। উইন্ডোজ ব্যবহারকারীরা বর্তমানে
স্বাচ্ছন্দের সাথে google ড্রাইভ ব্যবহার করে। একাধিক গুগল ড্রাইভ
ব্যবহারের অনেক রকম সুবিধা রয়েছে। তবে একটা কথা মানতে হবে যে, যেই জিনিসের
অনেক সুবিধা থাকে সেই জিনিসের অনেক অসুবিধা থাকে। চলুন আজকে উইন্ডোজ এ
একাধিক গুগল ড্রাইভ ব্যবহারের সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত জানি
একাধিক গুগল ড্রাইভ ব্যবহারের সুবিধা
Google কর্তৃপক্ষ বর্তমানে ইন্টারনেট ছাড়াই গুগল ড্রাইভ ব্যবহারের সুবিধা
দিচ্ছে। এই জন্য এখন কম্পিউটারে ইন্টারনেট না থাকলেও আপনি অনায়াসেই গুগল
ড্রাইভ ব্যবহার করতে পারবেন। অফলাইনেও গুগল ড্রাইভে রাখা ছবি এবং
ভিডিও দেখা যাবে। সদ্য প্রকাশিত টেক জয়েন প্রতিষ্ঠানটি এই গুরুত্বপূর্ণ
তথ্য আমাদের জানিয়েছেন। হলে বিভিন্ন ত্রুটির কারণে ইন্টারনেট সেবা
বন্ধ থাকলে কোন প্রবলেম নেই, আপনি ইন্টারনেট ছাড়াও গুগল ড্রাইভ ব্যবহার
করতে পারবেন।
এছাড়াও google জানিয়েছে, এখন থেকে গুগল ড্রাইভে পিডিএফ ফাইল, অফিসের
নথিপত্র গুলো অফলাইনে দেখা যাবে। ভোটার আইডি এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স এর মত
ব্যক্তিগত নথি পত্র এবং অফিসের প্রয়োজনীয় পিডিএফ ফাইল গুরুত্বপূর্ণ
জিনিসপত্র গুগল ড্রাইভে রাখা সম্ভব। তাই একাধিক গুগল ড্রাইভ ব্যবহার করে
অফিশিয়াল ও ব্যক্তিগতভাবে আমরা অনেক উপকৃত হচ্ছি। তবে একটা জিনিস খেয়াল
রাখবেন ড্রাইভে ডিজিটাল ফাইল শুধু সেভ করলেই এই সুবিধা পাওয়া যাবে
না।
একাধিক google drive ব্যবহারের অসুবিধা
উইন্ডোজ এ একাধিক গুগল ড্রাইভ একাউন্ট ব্যবহার করার একটি বড় অসুবিধা হলো
কম্পিউটার স্টোরেজ দ্রুত পূর্ণ হয়ে যায়, ফলে প্রতিটি একাউন্টে ফাইল
বিশেষত বড় ফাইল এবং মিডিয়া লোকাল নষ্ট করে। যদি ব্যবহারকারী সব ফাইল
অফলাইনে রাখতে চাই তাহলে হার্ড ড্রাইভ দ্রুত ফুল হয়ে যেতে পারে যা
কম্পিউটারে পারফরম্যান্স স্লো করে দিতে পারে।sync কনফিগারেশন এ জটিলতা
বৃদ্ধি করতে পারে, অনেকগুলো একাউন্টের জন্য আলাদা ফোল্ডার এবং ফুল সেটিং
দিলে অপ্রয়োজনীয় ফাইল ডাউনলোড হয়।উইন্ডোজে একাধিক গুগল ড্রাইভ
চালানোর সহজ উপায় জানা থাকলে আপনি অনায়াসেই অনেক কঠিনতম কাজ সহজভাবে করতে
পারবেন।
যার ফলে নেটওয়ার্ক ব্যান্ডউইথ বেশি ব্যবহার হয় এবং ফাইল আপডেট ধীর গতির হয়,
ফলে সীমিত ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহারকারীদের জন্য এটি বড় সমস্যা দেখা
দেয়।অনেকগুলো গুগল ড্রাইভ একাউন্ট ব্যবহারের আরেকটি অসুবিধা হলো ফাইল
ম্যানেজমেন্ট জটিলতা বেড়ে যাওয়া। কারণ কোন ফাইল কোন একাউন্টের অন্তর্গত তার
সময় মত খুঁজে পাওয়া কঠিন হতে পারে, বিশেষ করে অফিস এবং ব্যক্তিগত ফাইল একই
কম্পিউটারে থাকলে ব্যবহারকারীর ভুল হয়ে ফাইল মুছে বা ডিলিট জায়গায় সেভ
হয়ে যেতে পারে এতে ডাটা হারানোর ঝুঁকিও অনেকটা বেড়ে যায়।
উইন্ডোজে একাধিক গুগল ড্রাইভ লগইন এর সমাধান
Windows ব্যবহারকারীদের অনেকেরই একই কম্পিউটারে আপনার কাজের জন্য অনেকগুলো
গুগল ড্রাইভ একাউন্ট ব্যবহার করা প্রয়োজন হয়। কারো কারো ব্যক্তিগত ফাইল
এবং অফিসিয়াল আলাদা আলাদা ড্রাইভে সংরক্ষণ করা থাকে। আগের সময় একাউন্ট লগ
আউট করে আবার নতুন করে করতে হবে যা অনেক সময় নষ্ট করত কিন্তু বর্তমান যুগে
একই সাথে একাধিক অ্যাকাউন্ট চালানো সম্ভব। এখন গুগল ড্রাইভ ফর ডেস্কটপ
এই সমস্যার সহজ সমাধান দিয়েছে। উইন্ডোজ এ গুগল ড্রাইভ ফর ডেস্কটপ অ্যাপ এ
সরাসরি একাধিক অ্যাকাউন্ট যোগ করার সুযোগ রয়েছে।
অ্যাড অ্যানাদার একাউন্ট নামে একটি অপশন আছে যেখানে ক্লিক করে চাইলে আপনি
একটি অন্য অ্যাকাউন্ট সাইন ইন করতে পারেন, তাহলে আপনার জন্য নতুন একটি গুগল
ড্রাইভ চালু হয়ে যাবে যেখানে আপনি যাবতীয় তথ্যাদির ফাইল এবং ছবি সংরক্ষণ
করতে পারবেন। ব্যবহারকারীরা চাইলে ফোল্ডারের আলাদা রং দিয়ে ফোল্ডার সেভ
করতে পারে এতে করে কোন ফোল্ডারে কোন ফাইল আছে সেটি সহজেই বের করা সম্ভব
হয়। হলে ব্যক্তিগত ও অফিসের কাজ একে অপরের সাথে মিশে যায় না বরং আলাদা
আলাদা ড্রাইভ থাকার কারণে আজ সহজ ভাবে পরিচালিত হয়।
গুগল ড্রাইভে ছবি রাখার নিয়ম
কম্পিউটার ও মোবাইলে আমাদের অনেক রকমের ছবি সংগ্রহ করা থাকে। এছাড়াও ভিডিও,
অডিও, প্রয়োজনীয় কিছু সুন্দর মুহূর্তের ছবি আমরা মোবাইলে এবং কম্পিউটারে
রেখে দেই। কিন্তু অনেক রকমের ভাইরাস বা অন্যান্য কারণে মোবাইল বা কম্পিউটার
থেকে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ অনেক ছবি, ভিডিও ডিলিট হয়ে যায়। অনেক সময় মেমোরি
কার্ড ফরমেট হয়ে যায় ফলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ জিনিস এবং প্রয়োজনীয় ছবি
আমাদের জীবন থেকে হারিয়ে যায়। এই সমস্যা সমাধানের জন্য গুগল ড্রাইভে লগইন
করে সেখানে প্রয়োজনীয় ছবি, অডিও, ভিডিও রেখে দিতে পারবেন।
গুগল ড্রাইভ অ্যাকাউন্ট লগইন করা যায় মোবাইলে এবং কম্পিউটারে। এই
অ্যাকাউন্ট লগইন করা থাকলে আপনার মোবাইল বা কম্পিউটারের গ্যালারি থেকে
ছবি ডিলিট হয়ে গেলেও গুগোল ড্রাইভের মধ্যে এই ছবিগুলো সংরক্ষিত থাকবে, হলে
আপনার ছবি হারানোর কোন ভয় থাকবে না। চলুন জেনে নেই কিভাবে গুগল ড্রাইভে ছবি
রাখতে পারবেন। গুগল ড্রাইভে ছবি রাখার জন্য প্রথমে গুগল ড্রাইভে একটি
অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে, এর জন্য আপনার একটি জিমেইল একাউন্টের প্রয়োজন।
কারণ জিমেইল একাউন্ট এর মাধ্যমে গুগল ড্রাইভে লগইন করতে হবে।
তারপর প্লাস আইকনের ওপর ক্লিক করলে আপনি যেকোনো ছবি গুগল ড্রাইভে রাখতে
পারবেন। এরপর আপনার সামনে অনেকগুলো অপশন থাকবে সেখান থেকে আপলোড অপশনে ক্লিক
করে যে ছবিগুলো আপনার ড্রাইভে রাখতে চান সেটির উপর ক্লিক করবেন। ছবিটির ওপর
ক্লিক করার সাথে সাথে গুগোল ড্রাইভে আপনার ছবিগুলো আপলোড হওয়া শুরু হয়ে
যাবে। এরপর আপনি মোবাইল বা কম্পিউটার থেকে ছবি ডিলিট হয়ে গেলেও নির্দিষ্ট
ছবিটি আপনার গুগল ড্রাইভে পেয়ে যাবেন।
উইন্ডোজ এ গুগল ড্রাইভ শর্টকাট ব্যবহার
উইন্ডোজ এ গুগল ড্রাইভ শর্টকাট ব্যবহারের অনেকগুলো উপায় আছে। নিম্নে
উইন্ডোজ এ গুগল ড্রাইভ শর্টকাট ব্যবহারের নিয়ম গুলো বর্ণনা করা হলো-
- ডেস্কটপ শর্টকাট তৈরিঃ প্রথমে উইন্ডোজ এক্সপ্লোর এর এ গুগল ড্রাইভ ফোল্ডার ওপেন করতে হবে। এরপর পছন্দের ফাইল বা ফোল্ডারে রাইট ক্লিক করতে হবে। তারপর সেন্ট টু ডেক্সটপ এ ক্লিক করলে ডেক্সটপের শর্টকাট তৈরি হবে, এতে করে বারবার ফোল্ডার খুঁজতে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না সরাসরি ডেস্কটপ থেকেই ওপেন করা যাবে।
- কুইক এক্সসেসে শর্টকাট রাখাঃ উইন্ডোজ এক্সপ্লোর এ গুগল ড্রাইভ ফোল্ডার খুলুন এরপর বাম পাশের কুইক এক্সেসে টেনে এনে ড্রপ করুন এরপর এক্সপ্লোরের ওপেন করলেই ড্রাইভ হোল্ডার হাতের নাগালে পাওয়া যাবে।
- ফেভারেটে যুক্ত করাঃ প্রথমে উইন্ডোজ ইলেভেন অথবা টেন এর ফাইল এক্সপ্লোরারে গুগল ড্রাইভ ফোল্ডারে রাইট ক্লিক করুন এরপর add to favourite নির্বাচন করুন, এতে করে বাম পাশে নেভিগেশন প্যানেল থেকে ড্রাইভ সহজে পাওয়া যাবে।
- কিবোর্ড শর্টকাট দিয়ে দ্রুত এক্সেসঃ গুগল ড্রাইভ ফোল্ডারের শর্টকাটে রাইট ক্লিক করুন প্রথমে এরপর properties>shortcut এ গিয়ে শর্টকাট কি সেট করুন, তারপর কিবোর্ডের নির্দিষ্ট কি প্রেস করলেই সরাসরি গুগল ড্রাইভে যাওয়া যায়।
- Desktop Toolbar এ যোগ করাঃ প্রথমে টাচ বারে রাইট ক্লিক করে toolbar থেকে new toolbar এ যান, এরপর গুগল ড্রাইভ ফোল্ডার সিলেক্ট করুন এবং এতেই টাক্স বার এই ছোট্ট শর্টকাট মেনু তৈরি হবে।
- ড্রাগ ড্রপ শর্টকাটঃ কোনো ফাইল বা ফোল্ডারকে সরাসরি গুগল ড্রাইভ ফোল্ডারে ড্রাগ করে আনলে তার শর্টকাট তৈরি হয়ে যায় এতে করে আলাদা করে আপলোড বা সেভ করার প্রয়োজন হয় না।
- ক্লাউড ফাইলে সরাসরি শর্টকাটঃ থেকে যেকোনো ফাইলের লিংক কপি করে উইন্ডোজের শর্টকাট তৈরি করুন এরপর শর্টকাট যদি ওপেন করেন তাহলে সরাসরি অনলাইনে থাকা ফাইলটি ওপেন হবে।
- রান কমান্ড দিয়ে ড্রাইভ ওপেনঃ উইন্ডোজ রান ওপেন করে গুগল ড্রাইভ এর ফোল্ডারের প্যাথ লিখে রাখুন এবং আপনি চাইলে সেটিকে একটি ছোট শর্টকাট হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
- ডিফল্ট সেভ লোকেশন হিসেবে ব্যবহারঃ যদি কোন সফটওয়্যারে এমএস ওয়ার্ড, এমএস এক্সেল "save as" এ গিয়ে গুগল ড্রাইভ ফোল্ডার ডিফল্ট হিসেবে সেট করুন, এতে করে ফাইল সেভ করার সময় আলাদা করে লোকেশন খুঁজতে হবে না।
- স্টার্ট মেনুতে শর্টকাট যোগ করুনঃ প্রথমে ট্রাট মেনুতে গিয়ে google ড্রাইভ খুঁজুন এরপর রাইট ক্লিক করে"Pin to Start" দিন, এর ফলে স্টাট মেনু থেকেই ড্রাইভ এক্সেস করতে হবে।
- ওয়েব লিংক শর্টকাট তৈরিঃ গুগল ড্রাইভে ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনার পছন্দের ফোল্ডার ওপেন করুন প্রথমে, এরপর ব্রাউজার থেকে লিংক কপি করে ডেক্সটপের শর্টকাট হিসেবে সেভ করুন তারপর ব্রাউজার ওপেন করলেই সরাসরি ওই ফোল্ডারে ঢোকা যাবে।
উপসংহার
উইন্ডোজে একাধিক গুগল ড্রাইভ চালানোর সহজ উপায় ও কার্যকরী দিক হলো
ব্যক্তিগত ও অফিসিয়াল কোন গুরুত্বপূর্ণ ফাইল একসাথে না রেখে গুগল
ড্রাইভ অনেকগুলো থাকার কারণে সেগুলোতে আলাদা আলাদা করে সংরক্ষণ করা
সম্ভব হয়। আজকের আর্টিকেলটিতে আমি উইন্ডোজের একাধিক গুগল ড্রাইভ
চালানোর উপায় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি, এই
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আপনারা জানতে পারলে আপনারা সহজেই সকল ধরনের
অফিশিয়াল ও ব্যক্তিগত কাজ অনায়াসেই সমাধান করতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।


.webp)
.webp)


অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url