কক্সবাজার হোটেল ভাড়া কত ২০২৫ আপডেট সম্পর্কে জেনে নিন
কক্সবাজার হোটেল ভাড়া কত ২০২৫ সম্পর্কে আপনারা অনেকেই জানতে
চান।বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা
করলে সবচেয়ে আগে যে প্রশ্নটা মাথায় আসে, তা হলো: হোটেল ভাড়া কেমন পড়বে? ২০২৫ সালে
কক্সবাজারে হোটেল ভাড়ার ক্ষেত্রেও দেখা যাচ্ছে কিছু পরিবর্তন-বছরের সময়, অবস্থান,
এবং হোটেলের মানের ওপর নির্ভর করে ভাড়ায় পার্থক্য থাকছে।
যারা অল্প খরচে থাকার জায়গা খুঁজছেন, তাদের জন্যেও আছে বেশ কিছু ভালো অপশন, আবার যারা একটু আরামদায়ক বা বিলাসবহুল পরিবেশ চান, তাদের জন্যও রয়েছে রিসোর্ট বা ৪ থেকে ৫ তারকা মানের হোটেল। তাই কক্সবাজারে হোটেল খোঁজা এখন আর কঠিন কিছু নয়, শুধু নিজের চাহিদা আর বাজেট মিলিয়ে একটু বুঝে-শুনে বেছে নিতে হয়।
কক্সবাজার হোটেল ভাড়া কত ২০২৫
কক্সবাজার বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন স্থান। প্রতিদিন হাজারো মানুষ এখানে
ভিড় করে বিশাল সমুদ্রের ঢেউ দেখতে, বালুকাবেলায় হেঁটে বেড়াতে কিংবা একটুখানি
প্রশান্তি খুঁজে পেতে। তাই স্বাভাবিকভাবেই, হোটেল ভাড়া নিয়ে পর্যটকদের আগ্রহ এবং
উদ্বেগ দুই-ই থাকে। ২০২৫ সালে কক্সবাজারে হোটেল ভাড়া আগের বছরের তুলনায় কিছুটা
পরিবর্তিত হয়েছে, বিশেষ করে চাহিদা ও মৌসুমভিত্তিক।
সাধারণত অফ-সিজনে (যেমন: বর্ষাকাল বা রোজার মাসে) অনেক হোটেলেই ছাড় পাওয়া যায়,
তখন ১,০০০ থেকে ১,৫০০ টাকার মধ্যেই মোটামুটি ভালো একটি রুম পাওয়া সম্ভব। তবে
পর্যটনের ভরা মৌসুমে, যেমন ডিসেম্বরে বা ঈদের সময়, একই ধরনের রুমের ভাড়া ২,০০০
থেকে ৪,০০০ টাকাও হতে পারে। যারা একটু উন্নত মানের হোটেলে থাকতে চান, যেমন ৩ বা ৪
তারকা হোটেল, তাদের ক্ষেত্রে ভাড়া শুরু হয় গড়ে ৫,০০০ টাকা থেকে, এবং সেটা ১০,০০০
টাকারও বেশি হতে পারে রুমের ধরন ও অবস্থান অনুযায়ী।
সমুদ্রের খুব কাছে হলে কিংবা জানালা দিয়ে সাগর দেখা যায় এমন রুম হলে দাম কিছুটা
বেশি হয়। অন্যদিকে, ব্যাকপ্যাকার বা একা ভ্রমণকারীদের জন্য হোস্টেল টাইপের
ব্যবস্থা কিংবা ছোট গেস্ট হাউসেও থাকা যায়, যেখানে ৫০০–৮০০ টাকার মধ্যেও
রাত্রিযাপন সম্ভব। কক্সবাজারে হোটেল নির্বাচন এখন অনেক সহজ হয়েছে, কারণ অনলাইনে
বুকিং সুবিধা রয়েছে, ছবি ও রিভিউ দেখে আগেই সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়। সবমিলিয়ে, ২০২৫
সালে কক্সবাজারে হোটেল ভাড়া যে যার বাজেট অনুযায়ী খুঁজে পাওয়া এখন অনেকটাই সহজ
এবং সুবিধাজনক।
২০২৫ সালে কক্সবাজারে হোটেল ভাড়া কেমন হতে পারে?
২০২৫ সালে কক্সবাজারে হোটেল ভাড়ার ধরন আগের বছরের তুলনায় কিছুটা পরিবর্তিত হতে
পারে, যা নির্ভর করছে কয়েকটি মূল বিষয়ের ওপর-যেমন পর্যটকের চাপ, মৌসুমি চাহিদা,
এবং হোটেল খাতের সামগ্রিক উন্নয়ন। সাধারণ পর্যটকদের জন্য এখনো অনেক সাশ্রয়ী অপশন
রয়েছে, যেখানে অফ-সিজনে ১,২০০ থেকে ২,০০০ টাকার মধ্যেই ভাড়ায় ভালো মানের রুম
পাওয়া যায়।
তবে যারা ভ্রমণের পিক-সিজনে যান, যেমন শীতকাল বা ঈদের ছুটিতে, তারা একই মানের
রুমের জন্য দিতে হতে পারে ৩,০০০ থেকে ৫,০০০ টাকা বা তারও বেশি। বিশেষ করে
সমুদ্রের একদম পাশে অবস্থিত হোটেলগুলোতে চাহিদা বেশি থাকায় ভাড়া তুলনামূলকভাবে
বেশি হয়ে থাকে।২০২৫ সালে কক্সবাজারে নতুন কিছু বিলাসবহুল হোটেল এবং রিসোর্টও চালু
হয়েছে বা হতে চলেছে, যেগুলোর ভাড়া ৮,০০০ থেকে শুরু করে ১৫,০০০ টাকারও বেশি হতে
পারে-বিশেষ করে যদি সাগর দেখার মতো ভিউ থাকে বা প্রাইভেট বালুকাবেলা সুবিধা
থাকে।
অন্যদিকে, ছাত্র-ছাত্রী বা একা ভ্রমণকারীদের জন্য এখন অনেক হোস্টেল টাইপের হোটেলও
গড়ে উঠেছে, যেখানে ৫০০–১,০০০ টাকার মধ্যেই রাত্রিযাপন সম্ভব।বর্তমানে বেশিরভাগ
হোটেলেই অনলাইন বুকিং সুবিধা থাকায়, আগে থেকেই অফার বা ডিসকাউন্ট দেখে রুম বুক
করা সম্ভব হচ্ছে, যা ভাড়ার দিক থেকে অনেকটাই সুবিধাজনক।
সবমিলিয়ে, ২০২৫ সালে কক্সবাজারে হোটেল ভাড়া হবে এমন-যেখানে প্রতিটি বাজেটের
পর্যটকের জন্য কিছু না কিছু থাকবেই। একটু পরিকল্পনা আর সময়মতো বুকিং করলেই,
ভ্রমণটা হতে পারে আরামদায়ক ও ঝামেলাহীন।
বাজেট ফ্রেন্ডলি হোটেল খুঁজছেন?
বাজেট ফ্রেন্ডলি হোটেল খোঁজা এখন আর কঠিন কোনো কাজ নয়, বিশেষ করে যদি আপনি
কক্সবাজারের মতো পর্যটন স্থানে ভ্রমণ করতে যাচ্ছেন। অনেকেই মনে করেন, কক্সবাজার
মানেই উচ্চমূল্যের হোটেল আর রিসোর্ট-কিন্তু বাস্তবে তা নয়। আজকাল যারা অল্প খরচে
ভ্রমণ করতে চান, তাদের জন্য কক্সবাজারে রয়েছে অসংখ্য বাজেট ফ্রেন্ডলি হোটেল,
যেখানে ভালো মানের সার্ভিস পাওয়া যায় তুলনামূলক কম দামে।
২০২৫ সালে একক ভ্রমণকারী, ছাত্র, বা মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য এই ধরনের হোটেলগুলো
দারুণ বিকল্প হতে পারে। অনেক হোটেলেই ৮০০ টাকা থেকে শুরু করে ১৫০০ টাকার মধ্যে
ভালো রুম পাওয়া যায়, যেখানে ওয়াই-ফাই, টিভি, বেসিক ফার্নিচার এমনকি গরম পানি
ব্যবস্থাও থাকে।এছাড়া কিছু হোটেল বা গেস্ট হাউসে ভাগাভাগি ভিত্তিক রুমও পাওয়া
যায়, যা অনেক বেশি সাশ্রয়ী।
কেউ চাইলে অফ-সিজনে গেলে আরও ভালো ডিসকাউন্ট পেতে পারেন। মূল শহর থেকে কিছুটা
ভেতরে বা সাগরের সামনের রোডের চেয়ে পেছনের দিকে হোটেল নিলে খরচ তুলনামূলকভাবে কম
হয়। তবে এ ক্ষেত্রে অবশ্যই নিরাপত্তা ও পরিবেশের দিকটাও মাথায় রাখতে হয়। অনলাইনে
বুকিং সাইট বা অ্যাপ ব্যবহার করলে আপনি বিভিন্ন হোটেলের ছবি, রেটিং, এবং গ্রাহক
মতামত দেখে সহজেই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
বাজেট ফ্রেন্ডলি হোটেল মানেই কম মানের কিছু নয়-বরং একটু খোঁজখুঁজির মাধ্যমেই আপনি
পেয়ে যেতে পারেন এমন একটি জায়গা, যা আপনার ভ্রমণকে আরামদায়ক, সাশ্রয়ী এবং স্মরণীয়
করে তুলবে।
কক্সবাজারে ৪ ও ৫-তারকা হোটেলের ভাড়া কত?
কক্সবাজারে যদি আপনি একটু বিলাসবহুল ও আরামদায়ক পরিবেশে থাকতে চান, তাহলে ৪ ও
৫-তারকা হোটেল আপনার জন্য আদর্শ হতে পারে। এসব হোটেলে আপনি শুধু থাকার জায়গা নয়,
বরং একটি অভিজ্ঞতা পাবেন-যেখানে থাকবে আধুনিক সুবিধা, প্রশিক্ষিত কর্মী, প্রাইভেট
বালুকাবেলা, সুইমিং পুল, জিম, রেস্টুরেন্ট, এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সাগর দেখার
সুবিধাযুক্ত রুম।
২০২৫ সালে কক্সবাজারের ৪-তারকা হোটেলগুলোর রুম ভাড়া সাধারণত ৫,০০০ টাকা থেকে শুরু
হয়ে ৯,০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে, যা নির্ভর করে রুমের ধরন, সময়কাল এবং অবস্থানের
ওপর। আবার ৫-তারকা হোটেলে এই ভাড়া আরও বেশি-প্রায় ১০,০০০ টাকা থেকে শুরু করে
১৫,০০০ টাকা বা তারও বেশি হতে পারে।
বিশেষ করে যেসব রুম থেকে সমুদ্রের পূর্ণ ভিউ পাওয়া যায়, বা যেসব রুমে জ্যাকুজি,
ব্যালকনি বা আলাদা লিভিং এরিয়া থাকে, সেগুলোর দাম তুলনামূলক বেশি হয়ে থাকে।পিক
সিজন বা ছুটির সময়গুলোতে এই দাম আরও বাড়তে পারে, কখনও কখনও একই রুমের জন্য দিতে
হতে পারে দ্বিগুণ ভাড়া।
তবে বেশ কিছু হোটেল অনলাইন বুকিং-এর মাধ্যমে আগেভাগে বুকিং নিলে বিশেষ ছাড়ও দেয়,
যা আপনার খরচ কিছুটা হলেও সাশ্রয় করতে পারে। অনেকে ভাবেন ৫-তারকা মানেই বহুগুণ
খরচ, কিন্তু ছুটির বাইরে গেলে বা অফার চলাকালীন সময়ে বুকিং করলে তুলনামূলক ভালো
দামে থাকা সম্ভব। সব মিলিয়ে, কক্সবাজারে ৪ ও ৫-তারকা হোটেলের ভাড়া ২০২৫ সালে নানা
রকম হলেও, একটু বুদ্ধি করে বুকিং করলে অভিজাত পরিবেশে থেকেও ভ্রমণটা হতে পারে
আনন্দময় ও স্মরণীয়।
সিজন অনুযায়ী কক্সবাজার হোটেল ভাড়ার পরিবর্তন ২০২৫
২০২৫ সালে কক্সবাজারে হোটেল ভাড়া সিজনের ওপর বেশ স্পষ্টভাবে পরিবর্তিত হতে দেখা
যাচ্ছে। বছরের কোন সময়ে আপনি ভ্রমণে যাচ্ছেন, তার ওপর নির্ভর করে হোটেল খরচ অনেক
কম বা অনেক বেশি হতে পারে। সাধারণভাবে, কক্সবাজারে পর্যটকের ভিড় সবচেয়ে বেশি দেখা
যায় শীতকালে-বিশেষ করে ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত, এবং ঈদের ছুটি কিংবা
স্কুল-কলেজের অবকাশকালে।
এ সময়টাতে হোটেলগুলোর চাহিদা অনেক বেড়ে যায়, ফলে একই রুমের ভাড়া দ্বিগুণ হয়ে যেতে
পারে। যেমন, অফ-সিজনে যেটি ১,৫০০ টাকায় পাওয়া যায়, সেটি পিক সিজনে ৩,০০০ থেকে
৪,০০০ টাকায়ও যেতে পারে।অন্যদিকে, বর্ষাকাল (জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর) বা রমজান
মাসের সময়টাতে পর্যটক তুলনামূলকভাবে কম থাকে।
ফলে এই সময়টাকে অনেকেই “অফ-সিজন” বলেন। এ সময় হোটেলগুলো সাধারণত নানা রকম ছাড়
দিয়ে থাকে, যেমন ২০-৩০% পর্যন্ত ডিসকাউন্ট, ফ্রি ব্রেকফাস্ট বা লম্বা সময় থাকলে
বিশেষ প্যাকেজ। তাই যারা তুলনামূলক কম খরচে কক্সবাজার ঘুরতে চান, তাদের জন্য
অফ-সিজনটা হতে পারে দারুণ সুযোগ।
সিজনের প্রভাব শুধু হোটেল ভাড়াতেই নয়, বরং ফ্লাইট, খাবারদাবার ও অন্যান্য সেবা
খরচেও পড়ে। তাই ভ্রমণের সময় ঠিক করার আগে যদি একটু পরিকল্পনা করে অফ-সিজনের সুযোগ
নেওয়া যায়, তাহলে পুরো ট্রিপটি হবে অনেক বেশি বাজেট-ফ্রেন্ডলি। ২০২৫ সালে অনলাইন
বুকিং প্ল্যাটফর্মেও সিজনভিত্তিক অফার পাওয়া যাচ্ছে, যেগুলো ব্যবহার করে
স্মার্টভাবে হোটেল বুক করা সম্ভব। সবমিলিয়ে, সিজন বুঝে ভ্রমণের সময় নির্ধারণ করলে
কক্সবাজারে ভাড়া ও খরচ দুটোই সহজে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
সমুদ্রের পাশে রুম ভাড়া কেমন ২০২৫ সালে?
কক্সবাজারে ঘুরতে গেলে অনেক পর্যটকই চায়, এমন একটি রুম যেখানে জানালা খুললেই চোখে
পড়বে বিশাল নীল সমুদ্র আর গর্জন করা ঢেউ। ২০২৫ সালে এমন সাগর-ভিউ বা সমুদ্রের
একদম পাশে অবস্থিত রুমগুলোর চাহিদা যথারীতি অনেক বেশি, আর সেই কারণে এই ধরনের
রুমগুলোর ভাড়াও তুলনামূলকভাবে বেশি হয়ে থাকে।
সাধারণত ৩-তারকা বা এর চেয়ে ভালো মানের হোটেলে যদি আপনি সমুদ্রের পাশে বা
সাগরমুখী রুম নিতে চান, তাহলে ভাড়া শুরু হয় প্রায় ৪,০০০–৫,০০০ টাকা থেকে। তবে
ভ্রমণের মৌসুম অনুযায়ী এই ভাড়া ৭,০০০ থেকে ১২,০০০ টাকা পর্যন্তও যেতে পারে, বিশেষ
করে যদি সেটি কোনো ৪ বা ৫-তারকা হোটেলের এক্সিকিউটিভ স্যুইট বা ব্যালকনি রুম হয়।
অফ-সিজনে কিছু ছাড় পাওয়া গেলেও, সমুদ্র-ভিউ রুমে সাধারণত বেশি ডিসকাউন্ট দেওয়া হয়
না, কারণ এই ধরনের রুমের চাহিদা সবসময়ই থাকে। কিছু হোটেলে একই ধরনের রুমের দুটি
সংস্করণ থাকে-একটি সাধারণ দিকের, অন্যটি সাগরমুখী। আর এই দুই ধরনের রুমের মধ্যে
পার্থক্য হতে পারে গড়ে ১,৫০০ থেকে ৩,০০০ টাকা পর্যন্ত।
তবে যারা একটু বেশি খরচ করতে রাজি, তারা নিশ্চিন্তে এমন রুম বেছে নিতে পারেন,
কারণ সমুদ্রের সৌন্দর্য ঘর থেকে বসেই উপভোগ করার মতো শান্তি আর কোথাও নেই।তবে
একটা বিষয় মাথায় রাখা জরুরি-সমুদ্রের পাশে রুম নিতে চাইলে আগেভাগে বুকিং করা খুবই
গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এই রুমগুলো বেশিরভাগ সময়ই আগে থেকে রিজার্ভ হয়ে যায়। সবমিলিয়ে
২০২৫ সালে কক্সবাজারে সমুদ্রের পাশে রুম ভাড়া কিছুটা বেশি হলেও অভিজ্ঞতাটা
নিঃসন্দেহে দারুণ ও স্মরণীয়।
পরিবার নিয়ে কক্সবাজারে গেলে কোন দামের হোটেল সবচেয়ে উপযোগী?
পরিবার নিয়ে কক্সবাজারে ঘুরতে গেলে হোটেল বাছাইটা একটু ভেবেচিন্তেই করতে হয়। কারণ
শুধু নিজের আরামের কথা না ভেবে সবার সুবিধা, নিরাপত্তা, ও স্বাচ্ছন্দ্য বিবেচনায়
রাখা জরুরি। ২০২৫ সালে কক্সবাজারে পরিবার নিয়ে থাকার মতো মাঝারি দামের হোটেলগুলো
সবচেয়ে বেশি উপযোগী হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
সাধারণত ৩ থেকে ৪ জন সদস্যের একটি পরিবারের জন্য ৩,০০০ থেকে ৬,০০০ টাকার মধ্যেই
বেশ ভালো মানের ফ্যামিলি রুম পাওয়া যাচ্ছে, যেখানে থাকবে পর্যাপ্ত জায়গা, দুটো
ডাবল বেড বা একটি কিং সাইজ বেড, টিভি, এসি, বাচ্চাদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ এবং
অনেক ক্ষেত্রে ফ্রি ব্রেকফাস্ট সুবিধাও।৪-তারকা হোটেলে যদি থাকেন, তাহলে খরচটা
একটু বাড়বে-৬,০০০ থেকে ১০,০০০ টাকার মধ্যেও থাকতে হতে পারে, তবে সেইসঙ্গে মিলবে
উন্নতমানের সেবা, নিরাপত্তা, কিডস জোন, সুইমিং পুল এবং নিরিবিলি পরিবেশ।
সমুদ্র থেকে কিছুটা দূরের হোটেল হলে একই সুবিধা কিছুটা কম দামে পাওয়া যায়, তবে
সমুদ্রের কাছাকাছি থাকার আলাদা আনন্দ আছে, বিশেষ করে বাচ্চাদের জন্য।পরিবারের
সদস্যদের বয়স, স্বাস্থ্য বা খাবারের অভ্যাস বিবেচনায় হোটেলের লোকেশন, রুম সার্ভিস
ও খাবার অপশন যাচাই করে নেওয়া উচিত।
অনেক হোটেলেই এখন ফ্যামিলি প্যাকেজ বা দুই-রাত-থাকার স্পেশাল অফার দেওয়া হচ্ছে,
যেটা খরচ বাঁচাতে সাহায্য করে। তাই পরিবার নিয়ে কক্সবাজারে গেলে বাজেট ৩,৫০০ থেকে
৭,০০০ টাকার মধ্যে ধরলে বেশ আরামদায়ক ও নির্ভরযোগ্য হোটেল পাওয়া সম্ভব, যা
ভ্রমণটাকে করবে আনন্দময় ও ঝামেলাহীন।
ছাত্র বা একা ভ্রমণকারীদের জন্য সাশ্রয়ী হোটেল ভাড়া ২০২৫
২০২৫ সালে কক্সবাজারে ছাত্র বা একা ভ্রমণকারীদের জন্য সাশ্রয়ী হোটেল খোঁজা আগের
চেয়ে অনেক সহজ ও সুবিধাজনক হয়েছে। এখন এমন অনেক হোটেল, গেস্ট হাউস ও হোস্টেল
রয়েছে, যারা একা ভ্রমণকারীদের কথা মাথায় রেখে রুম, সার্ভিস এবং ভাড়ার গঠন করেছে।
একজন ছাত্র বা একা পর্যটক সাধারণত খরচ কম রাখতে চান, আবার একটি নিরাপদ, পরিষ্কার
ও শান্ত পরিবেশও চান-এই চাহিদার সমন্বয় করেই অনেক হোটেল এখন ২০২৫ সালে ৫০০ থেকে
১,২০০ টাকার মধ্যে রুম দিচ্ছে।
এসব রুমে সাধারণত একটি সিঙ্গেল বেড, ফ্যান বা এসি, টেলিভিশন, ও বেসিক ফার্নিচার
থাকে।কিছু হোস্টেল টাইপের হোটেল রয়েছে, যেখানে শেয়ারড রুমে থাকা যায়-অর্থাৎ এক
রুমে ২-৪ জন মিলে থাকার সুযোগ, যা খরচ আরও কমিয়ে আনে। ছাত্রদের জন্য এই ধরনের
অপশন দারুণ উপযোগী, বিশেষ করে যারা কক্সবাজারে ঘুরতে গিয়ে শুধু রাতটা কোথাও থেকে
যেতে চান।
অনেক হোটেল আবার ছাত্র পরিচয়পত্র দেখালে বা গ্রুপে বুক করলে ছাড়ও দেয়। মূল সমুদ্র
সৈকতের কিছুটা ভেতরে বা কলাতলী, লাবণী পয়েন্টের আশেপাশে এমন বেশ কিছু হোটেল পাওয়া
যায়।তবে নিরাপত্তার বিষয়টি কখনও অবহেলা করা উচিত নয়। রুম নেওয়ার আগে হোটেলের
রিভিউ দেখা, পরিচ্ছন্নতা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা যাচাই করা দরকার।
অনলাইনে বুকিং করলে সহজেই রেটিং দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়। সব মিলিয়ে ২০২৫ সালে
ছাত্র বা একা পর্যটকদের জন্য কক্সবাজারে ভালো মানের হোটেল এখন খুব সহজলভ্য এবং
বাজেটবান্ধব।
অনলাইনে হোটেল বুকিং করলে কক্সবাজারে কি ভাড়ায় ছাড় পাওয়া যায়?
২০২৫ সালে কক্সবাজার ভ্রমণকারীদের জন্য অনলাইন হোটেল বুকিং হয়ে উঠেছে একটি
স্মার্ট ও কার্যকর সমাধান। অনেকেই প্রশ্ন করেন-“অনলাইনে বুকিং করলে কি ভাড়ায়
সত্যিই ছাড় পাওয়া যায়?” উত্তর হলো-হ্যাঁ, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অনলাইনে বুকিং করলে
আপনি হোটেল ভাড়ায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ডিসকাউন্ট পেতে পারেন।
বিভিন্ন অনলাইন ট্রাভেল প্ল্যাটফর্ম যেমন Agoda, Booking.com, GoZayaan, Shohoz
বা হোটেলের নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রোমোশনাল অফার, সিজনাল ডিসকাউন্ট, এবং “early
booking” সুবিধা দেওয়া হয়। এতে একই রুম, যা হোটেলে সরাসরি গেলে হয়তো ৪,০০০ টাকা
লাগত, অনলাইনে মাত্র ২,৮০০–৩,২০০ টাকার মধ্যেই বুক করা সম্ভব হয়।
এছাড়া অনলাইনে অনেক সময় ক্রেতাদের জন্য “লয়ালটি পয়েন্ট”, “ক্যাশব্যাক অফার” কিংবা
“প্রোমো কোড” ব্যবহারের সুযোগ থাকে, যা ভাড়া কমাতে সাহায্য করে। এমনকি কিছু কিছু
বুকিং অ্যাপে প্রথমবার ব্যবহারকারীদের জন্য ১০–২০% পর্যন্ত ছাড়ও দেওয়া হয়।
অফ-সিজনে বা সাধারণ সময়ে বুক করলে ছাড়ের হার আরও বাড়তে পারে।
তবে অনলাইনে বুকিং করার সময় কয়েকটি বিষয়ে সচেতন থাকতে হয়-যেমন হোটেলের রেটিং,
রিভিউ, লোকেশন এবং কনফার্মেশনের কাগজপত্র ভালোভাবে দেখে নেওয়া উচিত। কখনও কখনও
কিছু অনির্ভরযোগ্য সাইট থেকে বুক করলে প্রতারিত হওয়ার ঝুঁকিও থাকে।২০২৫ সালে
কক্সবাজারে ঘুরতে যাওয়ার আগে যদি আপনি অনলাইনে বুকিং করেন, তাহলে শুধু ভাড়ায় ছাড়ই
পাবেন না, বরং সময়, ঝামেলা এবং অনিশ্চয়তা থেকেও মুক্ত থাকতে পারবেন। তাই স্মার্ট
ট্রাভেলারের জন্য অনলাইন বুকিং এখন একটি বুদ্ধিদীপ্ত সিদ্ধান্ত।
নতুন কোন হোটেলগুলো কক্সবাজারে সবচেয়ে জনপ্রিয়?
২০২৫ সালে কক্সবাজারে নতুন করে যেসব হোটেল পর্যটকদের মন কেড়েছে তার মধ্যে কিছু
নাম খুব দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ভ্রমণপ্রিয় মানুষরা এখন শুধু থাকার জন্য হোটেল
খোঁজেন না তারা চায় একটু আধুনিকতা আর বাড়ির মতো আরাম। সেই দিক থেকে কিছু নতুন
হোটেল সত্যিই প্রশংসা পাওয়ার মতো।
সাম্প্রতিক সময়ে যেসব হোটেল সবচেয়ে আলোচনায় এসেছে তার মধ্যে একটি হলো সি পার্ল
রিসোর্ট। এই হোটেলটি সাগরের খুব কাছেই হওয়ায় পর্যটকদের মধ্যে দারুণ আগ্রহ তৈরি
করেছে। বিশাল সুইমিং পুল খোলামেলা পরিবেশ আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সঙ্গে মিল রেখে
সাজানো হয়েছে এই রিসোর্টটি।আরেকটি নতুন নাম হলো বেস্ট হেরিটেজ হোটেল যেখানে
পরিবার বা দম্পতিরা খুব স্বাচ্ছন্দ্যে থাকতে পারেন।
তাদের রুমগুলো একটু প্রশস্ত এবং আধুনিক ডিজাইনের হওয়ায় অনেকেই প্রশংসা করেছেন। এ
ছাড়াও যারা একটু কম খরচে ভালো মানের পরিবেশ খুঁজছেন তাদের জন্য আছে নতুন কয়েকটি
বুটিক হোটেল যেগুলো শহর থেকে কিছুটা দূরে হলেও ভীষণ শান্তিপূর্ণ।সাম্প্রতিক সময়ের
আরেকটি জনপ্রিয় হোটেল হলো রয়াল পার্ল।
এই হোটেলটি একটু অভিজাত মানের হলেও যারা সাগরের পাশে একান্তে সময় কাটাতে চান
তাদের জন্য দারুণ এক অভিজ্ঞতা দিতে পারে।২০২৫ সালে কক্সবাজারে নতুন কিছু হোটেল
শুধু থাকার জায়গা নয় বরং পর্যটনের পুরো অভিজ্ঞতাটাই আরও সুন্দর করে তুলছে। আধুনিক
সুবিধা সুন্দর লোকেশন আর ভালো মানের সেবা দিয়েই তারা খুব অল্প সময়েই পর্যটকদের
কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
FAQ/সাধারণ প্রশ্নোত্তর
প্রশ্নঃ২০২৫ সালে কক্সবাজারে হোটেল ভাড়া কত টাকা থেকে শুরু হয়?
উত্তরঃসাধারণ হোটেলের ভাড়া শুরু হয় ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত, অফ-সিজনে কমও হতে
পারে।
প্রশ্নঃ৪-তারকা হোটেলের ভাড়া কত হতে পারে?
উত্তরঃ৪-তারকা হোটেলের ভাড়া সাধারণত ৫,০০০ থেকে ৯,০০০ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে।
প্রশ্নঃ৫-তারকা হোটেলে রাত যাপন করতে কত খরচ হয়?
উত্তরঃ৫-তারকা হোটেলে একটি রাতের খরচ ১০,০০০ থেকে ১৫,০০০ টাকার মতো হতে পারে।
প্রশ্নঃসিজনে হোটেল ভাড়া বেশি হয় কেন?
উত্তরঃপর্যটকের চাপ বেশি থাকায় চাহিদা অনুযায়ী হোটেল মালিকরা দাম বাড়িয়ে দেয়।
প্রশ্নঃঅফ-সিজনে হোটেল ভাড়া কতটা কমে?
উত্তরঃঅফ-সিজনে একই রুম ২০% থেকে ৪০% পর্যন্ত কম দামে পাওয়া যায়।
প্রশ্নঃপরিবারের জন্য উপযুক্ত হোটেলের ভাড়া কত?
উত্তরঃফ্যামিলি রুমের ভাড়া গড়ে ৩,০০০ থেকে ৬,০০০ টাকার মধ্যে হয়।
প্রশ্নঃছাত্রদের জন্য সবচেয়ে সাশ্রয়ী ভাড়া কত?
উত্তরঃছাত্রদের জন্য হোস্টেল বা শেয়ার রুম ৫০০–১,০০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়।
প্রশ্নঃঅনলাইনে বুক করলে কি ছাড় পাওয়া যায়?
উত্তরঃহ্যাঁ, অনলাইনে বুকিং করলে ১০% থেকে ৩০% পর্যন্ত ছাড় পাওয়া যেতে পারে।
প্রশ্নঃসমুদ্রের পাশে হোটেলের ভাড়া কেমন?
উত্তরঃসাগরমুখী রুমের ভাড়া সাধারণত ৪,০০০ থেকে ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
লেখকের মন্তব্যঃ কক্সবাজার হোটেল ভাড়া কত ২০২৫
২০২৫ সালে কক্সবাজারে হোটেল ভাড়ার পরিবর্তন আগের চেয়ে আরও বৈচিত্র্যপূর্ণ হয়ে
উঠেছে বলে মনে করেন লেখক। এখন ভ্রমণকারীর বাজেট অনুযায়ী বিভিন্ন দামের হোটেল
সহজেই পাওয়া যাচ্ছে, যা পর্যটনের জন্য ভালো দিক। যারা কম খরচে ঘুরতে চান, তাদের
জন্য যেমন ৮০০ থেকে ১৫০০ টাকার মধ্যে রুম রয়েছে, তেমনি বিলাসবহুল ভ্রমণপ্রেমীদের
জন্য ১০,০০০ টাকার ওপরে ৫-তারকা হোটেলও পাওয়া যাচ্ছে। লেখক মনে করেন, অফ-সিজনে
ছাড় পাওয়া গেলে অনেকটাই সাশ্রয়ীভাবে কক্সবাজার ঘোরা সম্ভব। তবে ভ্রমণের আগে
অনলাইনে খোঁজ নেওয়া ও আগেভাগে বুকিং করা সবসময়ই উপকারী।
প্রিয় পাঠক, আশা করি এ কন্টেনটি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে এবং এই কন্টেন্টের
দ্বারা আপনারা উপকৃত হতে পারবেন যদি।এই কন্টেন্টের দ্বারা আপনার উপকৃত হয়ে
থাকেন তবে এই কন্টেন্টটি আপনার বন্ধু বান্ধব ও আত্মীয়-স্বজনের নিকট শেয়ার
করতে পারেন যাতে তারা এতে করে উপকৃত হতে পারে।এছাড়াও প্রতিদিনের আপডেট ও নতুন
নতুন তথ্য পেতে আমাদের সাইটকে নিয়মিত ভিজিট করুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url