জলপাই খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

জলপাই একটি জনপ্রিয় ফল, যার শুধু স্বাদের জন্য নয় স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এতে ভিটামিন, খনিজ ও আন্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। নিয়মিত জলপাই খাওয়া হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ও ত্বকের যত্নে সহায়তা করে।

জলপাই-খাওয়ার-উপকারিতা-ও-অপকারিতা

তবে অতিরিক্ত গ্রহণ করা কোন কিছুই ভালো না। কারণ প্রত্যেকটি জিনিসের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। তাই পরিমিত পরিমানে খাওয়াই ভালো। আজকের আর্টিকেলটিতে আমি জলপাই খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করব।

সিদ্ধ জলপাইয়ের উপকারিতা

সেদ্ধ জলপাই স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি খাবার। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, সি, ই, কে ও বিভিন্ন প্রয়োজনীয় খনিজ উপাদান যেমন ক্যালসিয়াম, লোহা ও ম্যাগনেসিয়াম বিদ্যমান, যা শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। সিদ্ধ জলপাই খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং গ্যাস্ট্রিক বা অম্লতা কমাতে সহায়তা করে। এছাড়া এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান দেহের ক্ষতিকর ফ্রি রেডিক্যাল দূর করে, যা ত্বককে উজ্জ্বল রাখে ও বার্ধক্য বিলম্বিত করে।

বুদ্ধ জলপাই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখতেও কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। কারণ সিদ্ধ জলপাইয়ে থাকা প্রাকৃতিক তেল হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। নিয়মিত পরিমিত পরিমাণে সিদ্ধ জলপাই খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং সার্বিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে।

গর্ভাবস্থায় জলপাই খাওয়ার উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় জলপাই খাওয়া সত্যিই খুব উপকারী হতে পারে, কারণ এতে এমন অনেক পুষ্টিগুণ আছে যা মা ও অনাগত শিশু সুস্থ বিকাশে সাহায্য করে। প্রচুর পরিমাণে হেলদি ফ্যাট বা স্বাস্থ্যকর চর্বি থাকে, বিশেষ করে ওমেগা থ্রি ওমেগা সিক্স ফ্যাটি এসিড, যা শিশুর মস্তিষ্ক, চোখ এবং স্নায়ুতন্ত্রের সঠিক বিকাশের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গর্ভাবস্থায় এই ফ্যাট গুলো মা ও শিশুর উভয়ের শরীরের শক্তি যোগায় এবং শিশুর মানসিক বিকাশে সহায়তা করে।

ভিটামিন ই ও এন্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান মায়ের শরীরকে অ্যান্টি ডেটিভ ট্রেস বা কোষের ক্ষয় থেকে রক্ষা করে। এটি ত্বককে কোমল রাখে এবং গর্ভাবস্থায় দেখা দেওয়া বিভিন্ন ত্বকের সমস্যা যেমন দাগ কমাতে সাহায্য করে। জলপাইয়ে থাকা লোহা রক্তের হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সাহায্য করে, ফলে রক্তস্বল্পতার ঝুঁকি কমে। এটি মায়ের শরীরে অক্সিজেন পরিবহন প্রক্রিয়া উন্নত করে যা মা ও শিশুর উভয়ের জন্য খুবই উপকারী।জলপাই রয়েছে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস যা শিশুর হাড় ও তাকে গঠন করতে সাহায্য করে। 
আর জলপাইয়ের প্রাকৃতিক তেল হজমে সাহায্য করে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং গর্ভাবস্থায় দেখা দেওয়া ফলাফল গ্যাসের সমস্যা কিছুটা কমাতে সাহায্য করে। তবে এক্ষেত্রে একটা বিষয় মাথায় রাখা জরুরি জলপাই অনেক সময় সংরক্ষণের জন্য লবণে রাখা হয় ফলে এতে সোডিয়ামের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। তাই অতিরিক্ত পরিমাণে না খাওয়াই ভালো। পরিমিত ভাবে সিদ্ধ বা হালকা মসলা ছাড়া জলপাই খেলে তার উপকার সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায়।

জলপাইয়ের অপকারিতা

জলপাই একটি পুষ্টিকর ও উপকারী ফল, তবুও অতিরিক্ত বা ভুলভাবে খেলে কিছু উপকারিতা হতে পারে। জল পায়ের প্রধান অপকারিতা গুলো নিম্নে বর্ণনা করা হল-
  • অতিরিক্ত সোডিয়াম বা লবণঃ অনেক সময় বাজারে বিক্রি হওয়া জলপাই সংরক্ষণের জন্য লবণ জলে রাখা হয়। এতে সোডিয়াম এর পরিমাণ বেড়ে যায়, যা অতিরিক্ত খেলে রক্তচাপ বৃদ্ধি, পানি জমে যাওয়া এবং কিডনির উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে। যারা উচ্চ রক্তচাপ বা হৃদরোগে ভুগছেন তাদের জন্য এটি বিশেষভাবে ক্ষতিকর হতে পারে।
  • হজমে সমস্যাঃ খুব বেশি জলপাই খেলে বা তেলযুক্ত জলপাই খাওয়ার পর অনেকের গ্যাস্ট্রিক, অম্লতা বা পেট থাপার মত সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষ করে খালি পেটে বেশি খেলে এই সমস্যা আরো বাড়তে পারে।
  • এলার্জি প্রতিক্রিয়াঃ কিছু মানুষের শরীরের জলপাই বা জল পায়ে তেলের প্রতি এলার্জি থাকতে পারে। এতে ত্বকে চুলকানি, রেশ বা হালকা ফুসকুড়ির মতন প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। এমন হলে সঙ্গে সঙ্গে খাওয়া বন্ধ করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
  • ওজন বৃদ্ধি ও ক্যালরি সমস্যাঃ জলপাই তেল বা অতিরিক্ত জলপাই খেলে ক্যালরি গ্রহণ বেড়ে যায় যা ওজন বাড়াতে পারে। বিশেষ করে যারা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছেন, তাদের জন্য পরিমিত পরিমানে খাওয়াই উচিত।
সবশেষে বলা যায়, জলপাইয়ের অসংখ্য উপকারিতা থাকলেও পরিমানে নিয়ন্ত্রণ না থাকলে তার শরীরের জন্য উল্টো ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই নিয়মিত খাওয়া যেতে পারে, তবে সেটি অবশ্যই পরিণত হবে এবং স্বাস্থ্যকর ভাবে প্রস্তুত করে খাওয়ায় সবচেয়ে ভালো।

জলপাই আচারের উপকারিতা

জলপাই খাওয়ার উপকারিতা অনেক, এছাড়াও জলপাই আচারের উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না। জলপাই আচার শুধু খাবারের স্বাদ বাড়ায় না এর কিছু স্বাস্থ্যগত উপকারিতা ও রয়েছে যদি এটি পরিমিত পরিমাণে খাওয়া হয় তাহলে শরীরে অনেক উপকার সাধিত হয়। নিম্নে জলপাই আচারের প্রধান উপকারিতা গুলো বর্ণনা করা হলো
  1. জলপাইয়ের আচার সাধারণত মসলা, সরিষার তেল ও ভিনেগার দিয়ে তৈরি করা হয় যা হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এতে থাকা প্রাকৃতিক এসিড ও মসলার উপাদান পাকস্থলীতে হজম এনজাইম নিঃসরণে সহায়তা করে, ফলে খাবার সহজে হজম হয়।
  2. আচারের ঝাঁঝালো ও টকশাদ মুখে লালা রস তৈরি করে যা ক্ষুদা বাড়িয়ে দেয়। বিশেষ করে যাদের ক্ষুধা মন্দা বা খাওয়ার অনীহা আছে তাদের জন্য জলপাই আচার খাওয়া উপকারী হতে পারে।
  3. জলপাই থাকা ভিটামিন ই ও অন্যান্য এন্টিঅক্সিডেন্ট দেহের ক্ষতিকর ফ্রি রেডিক্যাল দূর করে। এতে কোষের ক্ষয় কমে ও ত্বক উজ্জ্বল থাকে।
  4. জলপাই ও এর আচার থাকা প্রাকৃতিক উপাদান যেমন ফেনোলিক যৌগ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে সহায়তা করে। জলপাইয়ের আচার খেলে সর্দি, কাশি বা সাধারণ সংক্রমনের ঝুঁকি কিছুটা কমে।
তবে মনে রাখা জরুরী, জলপাই আচারে লবণ ও তেলের পরিমাণ সাধারণত বেশি থাকে। অতিরিক্ত খেলে রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে বা ওজন বাড়তে পারে। তাই প্রতিদিন নয়, মাঝে মাঝে অল্প পরিমানে খাওয়াই শ্রেয়।

জলপাই খাওয়ার নিয়ম

জলপাই খাওয়ার নিয়ম জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ সঠিকভাবে খেলে এর উপকারিতা পাওয়া যায়, আর ভুল ভাবে খেলে হজমের সমস্যা বা অন্যান্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। নিম্নে জলপাই খাওয়ার সঠিক নিয়ম বর্ণনা করা হলো-
প্রতিদিন অল্প পরিমাণে জলপাই খাওয়ায় ভালো। সাধারণত চার-পাঁচটি কাঁচা বা সিদ্ধ জলপাই যথেষ্ট। অতিরিক্ত খেলে সোডিয়াম ও চর্বির পরিমাণ বেড়ে গিয়ে রক্তচাপ বা ওজন বৃদ্ধির ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। জলপাই খাওয়ার সবচেয়ে ভালো সময় দুপুর বা বিকেলের খাবারের সঙ্গে। খালি পেটে খেলে অনেক সময় গ্যাস বা অম্লতার সমস্যা হতে পারে। তাই খাওয়ার পর পর বা নাস্তা সঙ্গে খাওয়া ভালো।

যাদের হজম সমস্যা আছে, তারা সিদ্ধ জলপাই খেলে বেশি উপকার পাবেন কারণ সিদ্ধ জলপাই তুলনামূলকভাবে সহজে হজম হয়। কাঁচা জলপাই টক হওয়ায় অতিরিক্ত খেলে গলা বা পেটে জ্বালাপোড়া করতে পারে। জলপাইয়ের আচার খেতে পারেন তবে সেটি পরিমিত, কারণ এতে লবণ, তেল ও মসলার পরিমাণ বেশি থাকে যা অতিরিক্ত খেলে রক্তচাপ বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বাড়াতে পারে।

জল পায়ের তেল রান্নায় ব্যবহার করতে চাইলে হালকা আছে রান্না করুন, যাতে পুষ্টিগুণ নষ্ট না হয়। খেলাতে কাঁচা জলপাই তেল মিশিয়ে খাওয়া বেশ উপকারী। জলপাই খাওয়ার পর পর্যাপ্ত পানি পান করা উচিত, বিশেষ করে যদি সেটা আচার বা লবণ জলযুক্ত জলপাই হয়। এতে শরীরে সোডিয়ামের ভারসাম্য বজায় থাকে। পরিমিত পরিমানে, সঠিক সময়ে ও স্বাস্থ্যসম্মত ভাবে প্রস্তুত করে খাওয়া উচিত।

জলপাই কোন ভিটামিন থাকে

জলপাইয়ে নানা ধরনের ভিটামিন ও পুষ্টিগুণ রয়েছে। যা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। জলপাইয়ে রয়েছে ভিটামিন ই, ভিটামিন এ, ভিটামিন কে, ভিটামিন ডি ও ভিটামিন সি ইত্যাদি।
ভিটামিন ইঃ এটি জলপাইয়ের অন্যতম প্রধান ভিটামিন। ভিটামিন ই একটি শক্তিশালী এন্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বক ও চুলের যত্নে সাহায্য করে এবং কোষের ক্ষয় রোধ করে। এটির যন্ত্র কেও সুস্থ রাখতে ভূমিকা রাখে।
  • ভিটামিন এঃ এই ভিটামিন চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করে এবং ত্বক ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
  • ভিটামিন কেঃ ভিটামিন কে রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে এবং হাড়ের গঠন মজবুত রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
  • ভিটামিন ডিঃ সামান্য পরিমাণে ভিটামিন ডি থাকে যা ক্যালসিয়াম শোষণে সাহায্য করে এবং হাড়ের গঠন শক্তিশালী করে।
  • ভিটামিন সিঃ যদিও পরিমাণে তুলনামূলক কম তবুও এতে কিছুটা ভিটামিন সি থাকে যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে, ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

জলপাই খাওয়ার আটটি উপকারিতা

জলপাই একটি পুষ্টিগুণে ভরপুর ফল, যা শরীরের বিভিন্ন দিক থেকে উপকার করে। নিম্নে জলপাই খাওয়ার আটকে উপকারিতা দেওয়া হলো
  1. এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার
  2. ত্বক ও চুলের যত্নে সহায়তা করে
  3. হজম শক্তি বৃদ্ধি করে
  4. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
  5. হাড়ের গঠন মজবুত করে
  6. মস্তিষ্ক ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে
  7. ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে
  8. হৃদরোগ ও উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমায়

জলপাইয়ের পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা

জলপাই পুষ্টি কোণে ভরপুর একটি খাবার। যা শুধু স্বাদের জন্যই নয় স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এতে রয়েছে নানা ধরনের ভিটামিন, খনিজ ও প্রাকৃতিক তেল যা শরীরের ভেতর ও বাইরে উভয় দিক থেকে উপকারে আসে। জল পায়ের পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে নিম্নে বর্ণনা করছি
জলপাই-এর-পুষ্টিগুণ-ও-স্বাস্থ্য-উপকারিতা


জলপাইয়ের পুষ্টিগুণ

  • প্রতি ১০০ গ্রাম জল পায়ে আনুমানিক থাকে
  • ক্যালোরি ১১৫
  • ১১ থেকে ১৫ গ্রাম ফ্যাট
  • কার্বোহাইড্রেট ৬ গ্রাম
  • প্রোটিন ০.৮ থেকে ১ গ্রাম
  • ফাইবার তিন থেকে চার গ্রাম
  • ভিটামিন ই, এ, কে, সি বিদ্যমান
  • খনিজ উপাদান ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, কপার ইত্যাদি
  • এন্টিঅক্সিডেন্ট পলিফেনাল, অলিউরোপিন এবং হাইড্রোক্সি টাইরোসল

জলপাইয়ের স্বাস্থ্য উপকারিতা

  1. জলপাইয়ের প্রাকৃতিক তেল হজম শক্তি বাড়ায়, গ্যাস ও কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করে এবং পেটের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়।
  2. জলপাইয়ে থাকা হেলদি ফ্যাট রক্তের ক্ষতিকর কোলেস্টরেল কমিয়ে ভালো কোলেস্টরেল বাড়ায়। এটি রক্তনালীকে পরিষ্কার রাখে এবং হৃদরোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে
  3. জল পায়ে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান শরীরের ফি রেডিকেল দূর করে। যা কোষের ক্ষয় ও বার্ধক্য প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে।
  4. ভিটামিন ই ও প্রাকৃতিক তেল ত্বককে মসৃণ রাখে চুলের গোড়া মজবুত করে এবং ত্বকের শুষ্কতা বা দাগ কমাতে সাহায্য করে।
  5. জল পায়ে থাকা ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন কে হাড়ের দৃঢ়তা বাড়ায় এবং অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধ করে।
  6. জলপাইয়ের অমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড মস্তিষ্কের বোস সক্রিয় রাখে এতে মনোযোগ ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়।
  7. ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কে শক্তিশালী করে ফলে সর্দি কাশি ও অন্যান্য সংক্রমনের ঝুঁকি কমে
  8. জলপাইয়ে থাকা ফাইবার পেট ভরা রাখে, অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমায় এবং শরীরে মেটাবলিজম ঠিক রাখে।

জলপাই খাবেন যে কারণে

জলপাই খাওয়ার অনেক কারণ রয়েছে যার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো এটি স্বাস্থ্য ও পুষ্টিতে ভরপুর। এতে থাকা স্বাস্থ্যকর চর্বি, ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরকে সার্বিকভাবে উপকারে আনে। নিয়মিত জলপাই খেলে হৃদরোগের ঝুকি কমে, কারণ এতে খারাপ কোলেস্টেরল কমেভালো কোলেস্টেরল বাড়ানোর ক্ষমতা রয়েছে। এছাড়া ভিটামিন ই এবং প্রাকৃতিক তেলের কারণে ত্বক মসৃণ থাকে, চুলের গোড়া মজবুত থাকে এবং বার্ধক্য ধির হয়।
জলপাই খাওয়া হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে, কোষ্ঠকাঠিন্য কমায় এবং পাকস্থলীর স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে ফলে সর্দি কাশি ও সংক্রমনের ঝুঁকি কমে। জলপাইয়ের ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন কে হার ও দাঁতের গঠন মজবুত রাখে। ফাইবার যুক্ত এই ফল দীর্ঘ সময় পেট ভরা রাখে অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমায় এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। নাস্তার বিকল্প হিসেবে জলপাই খেলে অপ্রয়োজনীয় চিনি, তেল বা প্রিজারভেটিভ গ্রহণ কমে। তাই জলপাই খাওয়া শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী এবং এটি নিয়মিত ও পরিমিত পরিমাণে খেলে স্বাস্থ্য সর্বাধিক উপকার সাধিত হয়।

উপসংহার

জলপাই খাওয়ার উপকারিতা অনেক যা বলে শেষ করার মতো না। জলপাই খাওয়ায় যেমন উপকার রয়েছে তেমনি কিছুটা অপকারও রয়েছে। আজকের আর্টিকেলটিতে আমি জলপাই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। বিশেষ করে জলপাই খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত বলেছি। আশা করি, এই আর্টিকেলটি পড়লে আপনিও জলপাইয়ের উপকার সম্পর্কে এবং অপকার সম্পর্কে কিছুটা হলেও ধারণা গ্রহণ করতে পারবেন।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪