পিত্তথলির পাথর দূর করার উপায়

পিত্তথলির পাথর একটি সাধারন জিনিস কিন্তু কষ্টদায়ক সমস্যা, যা হজম প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করে। সাধারণত এটি পিত্তের মধ্যে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল বা বিলিরুবিন জমে তৈরি হয়। আজকের আর্টিকেলটিতে পিত্তথলির পাথর দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।

পিত্তথলিতে-পাথর-দূর-করার-উপায়

চিকিৎসার পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাস ও জীবন যাপনের পরিবর্তন এতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সঠিক যত্ন ও নিয়ম মেনে চললে পিত্তথলির পাথর দূর করা ও প্রতিরোধ করা সম্ভব।

পিত্তথলিতে পাথর হওয়ার লক্ষণ

পিত্তথলি আমাদের যকৃতের নিচে একটি ছোট থলে, যেখানে পিত্তরস জমা থাকে। এই পিত্তরসে কোলেস্টেরল বা অন্য উপাদান জমে পাথর তৈরি হলে তাকে বলা হয় পিত্তথলির পাথর (Gallstone)। অনেক সময় এটি চুপচাপ থেকে যায়, কোনো লক্ষণই দেখা দেয় না। কিন্তু যখন পাথর পিত্তনালীতে আটকে যায়, তখন নানা অস্বস্তি ও ব্যথা শুরু হয়। থলিতে পাথর হলে কিছু নির্দিষ্ট লক্ষণ দেখা দিতে পারে। নিজে এসব সাধারন লক্ষণ উল্লেখ করা হলো-
  • পেটের ডান পাশে বা মাঝখানে তীব্র ব্যথা, যা অনেক সময় পিঠ বা ডান কাঁধে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
  • খাবার খাওয়ার পর বিশেষ করে চর্বিযুক্ত খাবারের পর ব্যথা বা অস্বস্তি অনুভব হওয়া।
  • বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া
  • হজমে সমস্যা, গ্যাস বা পেট ফাঁপা অনুভব করা
  • ত্বক ও চোখ হলুদ হয়ে যাওয়া
  • জ্বর ঠান্ডা লাগা যা সংক্রমনের ইঙ্গিত দিতে পারে

পিত্তথলির পাথর দূর করার ঘরোয়া উপায়

পিত্তথলির পাথর দূর করতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল সঠিক খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখা। তেল চর্বিযুক্ত ও ভাজা খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করলে পিত্ত পাতলা থাকে এবং পাথর জমার ঝুঁকি কমে। সবুজ শাক-সবজি, ফল ও আঁশযুক্ত খাবার নিয়মিত খাওয়া উপকারী। এছাড়া পিত্তথলির পাথর দূর করার জন্য অনেক ঘরোয়া উপায় রয়েছে।

আপেল ও আপেল সিডার ভিনেগার পাথর দূর করতে কার্যকল বলে ধরা হয়। আপেলের প্রাকৃতিক এসিড পিত্তের জমাট বাধা উপাদান নরম করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন এক গ্লাস আপেল জুস বা এক চা চামচ আপেল ফিডার ভিনেগার মিশিয়ে পানি পান করা যেতে পারে। তবে সেটি অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে গ্রহণ করা উত্তম।
লেবু ও অলিভ অয়েল মিশ্রণ ও একটি জনপ্রিয় ঘরোয়া উপায়। লেবুর রস পিত্ত নিঃসরণের জন্য করে আর অলিভ অয়েল যকৃতকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। সকালে খালি পেটে লেবুর রসের সঙ্গে সামান্য অলিভ অয়েল মেশিয়ে পান করা উপকারী হতে পারে। হালকা ব্যায়াম ও নিয়মিত হাটা শরীরের বিপাকক্রিয়া সচল রাখে, যা পাথর গঠনের ঝুঁকি কমায়।

মানসিক চাপ কমানো ও পর্যাপ্ত ঘুম ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এসব ঘরোয়া উপায় নিয়মিত অনুসরণ করলে অনেক সময় পাথর ছোটো হয়ে স্বাভাবিকভাবে বের হয়ে যেতে পারে। তবে জটিলতা দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা করতে হবে। এই বিষয়ে বর্তমান সমাজের মানুষ অনেকটাই অসচেতন, তাই এই বিষয়ে আমাদের সচেতন হওয়া জরুরী নিজের জীবন রক্ষার্থে।

পিত্তথলির পাথর অপারেশন খরচ

পিত্তথলির পাথর অপারেশনের খরচ নির্ভর করে হাসপাতালে ধরন, অপারেশনের ধরন(ল্যাপরোস্কপিক বা খোলা), রোগীর অবস্থা এবং হাসপাতালে থাকার সময় এর উপর। নিচে একটা সাধারণ ধারণা দেওয়া হল-
  1. ভারতের মতে, ল্যাপরোস্কোপিক শিফারির জন্য রুপি ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ ৬০০০০ পর্যন্ত খরচ হতে পারে।
  2. বাংলাদেশের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট খরচ পাওয়া যায়নি, তবে অনেক ক্ষেত্রে পরীক্ষা-নিরীক্ষা, ঔষধ, হাসপাতালের কেবিন খরচ সহ অপারেশন সহ" প্যাকেজ" হিসেবে অনেক হাজার টাকা উঠে যায়।

পিত্তথলির পাথর হলে কি খাওয়া যাবেনা?

পিত্তথলিতে পাথর হলে খাবারের বিষয়ে বিশেষ যত্ন নেওয়া খুব জরুরি। কারণ অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস পিতনি স্মরণে অসামঞ্জস্য তৈরি করে ব্যথা, বমি ও কদম বাড়াতে পারে। তাই কিছু খাবার একবারে এড়িয়ে চলা এবং খাবার নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা প্রয়োজন।

যে খাবারগুলো খাওয়া যাবেনা

  • তেল চর্বিযুক্ত ও ভাজা খাবার যেমন ভর্তা ভাজা, পরোটা, বিরিয়ানি, ফাস্টফুড ইত্যাদি
  • চর্বিযুক্ত মাংস ও দুধ জাত ভারী খাবার যেমন গরু বা খাসির মাংস, মাখন, ঘি, ক্রিম, আইসক্রিম, পনির ইত্যাদি
  • অতিরিক্ত মিষ্টি ও প্রক্রিয়াজাত খাবার যেমন কেক, পেস্ট্রি, কোমল পানীয় ও প্যাকেট জাত খাবার ইত্যাদি
  • কফি, চা অতিরক্ত পরিমাণে খাওয়া যাবে না
  • অতিরিক্ত মসলা ও ডিমের কুসুম খাওয়া থেকে বিরত থাকুন কারণ এগুলো পিত্তথলির প্রদাহ ও ব্যথা বাড়ায়।

পিত্তথলির পাথর অপারেশন ছাড়া দূর করার উপায়

পিতথলির পাথর দূর করতে সব সময় অপারেশন প্রয়োজন হয় না। ছোট আকারের পাথর বা প্রাথমিক পর্যায়ে সনাক্ত হলে কিছু প্রাকৃতিক ও খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তনের মাধ্যমে এটি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। নিয়মিত স্বাস্থ্যকর যাপন ও শরীরের টক্সিন দূর রাখতে অনেক ক্ষেত্রেই পাথর ধীরে ধীরে বলে মা স্বাভাবিকভাবে বের হয়ে যেতে পারে। প্রাকৃতিক উপায় গুলোর মধ্যে সবচেয়ে কার্যকর হলো আপেল ও আপেল সিডার ভিনেগার থেরাপি। 

আপেলে থাকা ম্যালিক এসিডের জমাট বাধা উপাদান নরম করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন এক গ্লাস তাজা আপেল জুস বা কুসুম গরম পান চা চামচ আপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে পান করলে পিত্তথলি পরিষ্কার থাকে এবং পাথর দূর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।আরেকটি জনপ্রিয় ঘরোয়া উপায় হল লেবুর রস অলিভ অয়েলের মিশ্রণ। লেবুর রস পিত্ত নিঃসরণে সহায়তা করে এবং অলিভ অয়েল প্রকৃতকে সক্রিয় রাখে। সকালে খালি পেটে আধা কাপ লেবুর রস এক চা চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে পান করলে এটিপি তো থলির পাথর ছোট করতে সহায়তা করে বলে মনে করা হয়। 

পাশাপাশি ডেন্ডি লিওন চা, মিল্ক থিসল ও হলুদও যকৃত ও পিত্তথলিকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। অপারেশন ছাড়াই পিত্তথলির পাথর দূর করতে হলে খাদ্যাভ্যাস ও জীবনধারায় পরিবর্তন আনা সবচেয়ে জরুরি। তেল চর্বিযুক্ত খাবার পরিবর্তন করে বেশি পরিমাণে সবজি ফল ও আঁশযুক্ত খাবার খেতে হবে। প্রতিদিন অন্তত আট থেকে দশ গ্লাস পানি পান, নিয়মিত হাটা ও হালকা ব্যায়াম করা উচিত। এবং পাথর গঠনের ঝুঁকি কমায়। তবে যদি ব্যথা বেড়ে যায়, জ্বর বা জন্ডিস দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

পিত্তথলিতে পাথর কেন হয়, লক্ষণ ও চিকিৎসা

পিত্তথলিতে পাথর হবার নানান কারণ রয়েছে। বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ মানুষেরই পিত্তথলিতে পাথর হওয়ার প্রবণতা দেখা দিয়েছে। এটার মূল কারণ হলো জীবন যাত্রার পরিবর্তন এবং অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন। নিম্নে পিত্তথলিতে পাথর কেন হয়, এর লক্ষণ কি এবং এর চিকিৎসা কি সেটি সম্পর্কে আলোচনা করব।

পিত্তথলিতে-পাথরের-লক্ষন-ও-চিকিৎসা


পিত্তথলিতে পাথর কেন হয়?

পিত্তথলি হলো একটি ছোট পকেট এর মতো অঙ্গ, যা যকৃত থেকে পিত্ত সংরক্ষণ করে। বৃত্তের মধ্যে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল, বিলিরুবিন বা ক্যালসিয়াম জমে পাথর তৈরি হতে পারে। এর মূল কারণগুলো হল 
  • অসামঞ্জস্য খাদ্যাভ্যাস
  • অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা
  • হরমোন জনিত সমস্যা
  • বংশগত প্রবণতা
  • অনিয়মিত খাবার বা দীর্ঘ সময় অনাহার

লক্ষণ

পিত্তথলিতে পাথর থাকলে সব সময় উপসর্গ দেখা নাও দিতে পারে। তবে প্রাথমিকভাবে কিছু কিছু লক্ষণগুলো হলো
  1. পেটের ডান পাশে তীব্র ব্যথা, যা পিঠ বা ডান কাঁধ পর্যন্ত ছড়িয়ে যেতে পারে
  2. খাবারের পর ব্যথা, বিশেষ করে চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়ার পরে
  3. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া
  4. হজমের সমস্যা, গ্যাস বা পেট ফাঁপা
  5. জন্ডিস(ত্বক ও চোখ হলুদ হওয়া), যদি পাথর পিত্ত নালী বন্ধ করে
  6. জ্বর বা ঠান্ডা লাগা, সংক্রমণের ইঙ্গিত

চিকিৎসা

পিত্তথলি পাথরের চিকিৎসা পাথরের আকার, উপসর্গ এবং জটিলতার উপর নির্ভর করে। প্রধান পদ্ধতিগুলো হল-
  • ঔষধ ও ঘরোয়া উপায়(ছোট পাথরের জন্য) ঃ আপেল জুস, আপেল সিডার ভিনেগার, লেবু ও অলিভ অয়েল, ড্যানডেলিওনচা ইত্যাদি। তেল চরবিহীন খাবার, বেশি পানি পান এবং নিয়মিত ব্যায়াম।
  • অপারেশনঃ ল্যাপরোস্কপিক সার্জারি আধুনিক ও কম ব্যথাযুক্ত পদ্ধতি, দ্রুত সুস্থ হওয়ার সুযোগ। খোলা অপারেশন জটিল বা বড় পাথরের ক্ষেত্রে।

পিত্তথলির পাথর হলে কোন খাবার গুলো খাবেন?

পিত্ত থলির পাথর থাকলে খাদ্যাভ্যাস খুব গুরুত্বপূর্ণ। কিছু খাবার এড়িয়ে চলা এবং কিছু নিয়মিত খাওয়া পাথর নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
  • সবজি ও শাকসবজি যেমন লাউ, শসা, ব্রকলি, পালং শাক, করলা ইত্যাদি
  • বিভিন্ন ফলমূল যেমন আপেল, পেঁপে, কলা, কমলার মত তাজা ফল
  • আঁশযুক্ত খাবার যেমন ওটস, ব্রাউন রাইস, গমের রুটি
  • হালকা প্রোটিনযুক্ত খাবার যেমন চরবিহীন মুরগি, দেশী মাছ, ডাল, সয়াবিন ইত্যাদি
  • পর্যাপ্ত পানি ও দিনে অন্তত আট থেকে দশ গ্লাস পানি পান করুন।

পিত্ত থলির অপারেশনের পর কি খাবার খাবেন আর কি খাবেন না?

পিত্তথলির অপারেশনের পর খাদ্যাভ্যাস খুব গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু পিত্তথলি সরানো হয়ে গেছে, তাই শরীরের হজম প্রক্রিয়া কিছুটা পরিবর্তিত হয়। নিচে বিস্তারিতভাবে কি খাবার খাবেন আর কি খাবার এড়িয়ে চলবেন তার একটি তালিকা দেওয়া হলো-

অপারেশন এর পরের খাবার কি খাবেন

  • হালকা ও সহজ হজমযোগ্য খাবার যেমন ভাত, ডাল, হালকা সবজি সুপ, ওটমিল ইত্যাদি
  • সবজি ও শাকসবজি যেমন লাউ, ব্রুকলি, শশা, করলা ইত্যাদি
  • ফলমূলের মধ্যে আপেল, পেঁপে, কলা, কমলা ইত্যাদি
  • প্রোটিনের মধ্যে মাছ, চর্বিহীন মুরগি, ডাল ইত্যাদি
  • প্রচুর পানি ও হালকা হারবাল চা খাবেন। শরীরের হজম প্রক্রিয়া ঠিক রাখতে সাহায্য করে এতে।

যে খাবার এড়িয়ে চলবেন

  • ভাজা ও তেল চর্বিযুক্ত খাবার
  • মিষ্টি ও প্রক্রিয়াজাত খাবার
  • ভারী দুধ জাত খাবার
  • অতিরিক্ত মসলা ও তিক্ত খাবার
  • অ্যালকোহল ও অতিরিক্ত ক্যাফেইন

পিত্তথলিতে কিভাবে ডায়াগনোসিস করা হয়?

পিত্তথলির পাথর বা গলস্টোন অ্যাকনোসিস এর জন্য কিছু নিম্নোক্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা দরকার। পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে আমরা রোগের সঠিক তথ্য জানতে পারি।
  • রক্ত পরীক্ষাঃ রক্ত সংগ্রহ করে ল্যাবরেটরীতে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে রক্তে ইএসআর ও বিলিরুবিন পরিমাণ নির্ণয় করা হয়। বিলিরুবিন ও ই এস আর এর মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হলে তা পিত্তথলিতে পাথর হওয়ার সংকেত প্রদান করে।
  • সিটি স্ক্যানঃ পিত্তথলির পাথরের সাথে সাথে লিভারের কোন সমস্যা হয়েছে কিনা তা নির্ণয় করার জন্য অনেক সময় চিকিৎসকেরা পেটের সিটি স্ক্যান করানো নির্দেশ দেন।
  • এক্স-রে ও আল্ট্রাসনোগ্রাফিঃ পিতথলিতে পাথর হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করার জন্য চিকিৎসকেরা পেটের এক্স-রে ও আল্ট্রাসনোগ্রাফি পরীক্ষা করাতে বলেন। এক্সরে ফিল্ম ও আল্ট্রাসনোগ্রাফি রিপোর্ট দেখে পিত্তথলির পাথরের আকার ও অবস্থান সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।
এছাড়াও পিত্তথলির ছোট পাথর প্রাথমিক পর্যায়ে থাকলে অনেক সময় প্রাকৃতিক ও ঘরোয়া উপায় অনুসরণ করে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, পর্যাপ্ত পানি পান, আঁশযুক্ত খাবার, তেল চরবিহীন খাবার এবং নিয়মিত হালকা ব্যায়াম পাথরের গঠনের ঝুঁকি কমায় এবং থলির কার্যকারিতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া আপেল, লেবু, অলিভ অয়েল, মিল্কি থিসল জাতীয় প্রাকৃতিক উপাদান পাথর ধীরে ধীরে ছোট করতে বা নরম করতে সহায়তা করে।

উপসংহার

পিত্তথলির পাথর দূর করার অনেকগুলো উপায় উপরেরটা আলোচনায় আমি তুলে ধরেছি। পিত্তথলির পাথর নিয়ন্ত্রণ করতে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস আসযুক্ত খাবার, তেল চর্বি বিহীন খাবার এবং নিয়মিত হালকা ব্যায়ামের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব বলে আমি মনে করি। তবে যদি পাথর বড় হয় সংক্রমণের লক্ষণ দেখা দেয় তখন অবশ্যই একজন ভালো চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খাওয়া বা অপারেশন করার মতন সমাধান বের করা সম্ভব। ঘরোয়া ও প্রাকৃতিক উপায়ে শুধুমাত্র সহায়ক কিন্তু সর্বদা পেশাদার চিকিৎসা ও নিয়মিত পরীক্ষার বিকল্প নেই। আশা করি, আজকের আর্টিকেলটি পড়লে আপনি অনেকটাই উপকৃত হবেন ইনশাল্লাহ।







এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪